শিশু জিহাদের মৃত্যু : ৪ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড
রাজধানীর শাহজাহানপুরে পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমসহ ৪ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই আসামিদের ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
রোববার ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম ও ইলেকট্রিশিয়ান জাফর অহম্মেদ শাকি।
রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও প্রকৌশলী দীপন কুমার ভৌমিককে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলায় বিভিন্ন সময়ে মোট ১১ সাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এর মধ্যে সাফাই সাক্ষ্য পেশ করেন তিনজন। ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির একটি পানির পাম্পে লোহার পাইপ দিয়ে কূপ খনন করা হয়। কূপটি নিরাপদ না করে মুখ খোলা অবস্থায় দীর্ঘদিন পরিত্যক্তভাবে ফেলে রাখা হয়। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাদী নাসির ফকিরের ছেলে জিহাদ কূপের পাশে খেলার সময় পাইপে পড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় নাসির ফকির ‘দায়িত্বে অবহেলায়’ জিহাদের মৃত্যুর অভিযোগ এনে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন।
২০১৬ সালের ৩১ মার্চ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান রেলওয়ের সহকারী জ্যেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জেএ/এনএফ/আরআইপি