বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি কেন অবৈধ নয়


প্রকাশিত: ০৫:৫০ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিচারক বদলি, পদোন্নতি এবং শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সংবিধানের বিধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্পিকার ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। অপরদিকে রিট আবেদনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।

তিনি জানান, সংবিধানের ১১৬, ১১৫ অনুচ্ছেদ নিম্ন আদালতের বিচারকদের জন্য এবং ৯৮ এবং ৯৫ হলো সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের জন্য (শৃংখলা, নিয়োগ, বদলি এবং পদোন্নতি) সংক্রান্ত সংবিধানের বিধি।

হাইকোর্টের জারি করা রুলে বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ ও নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা নিয়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সংক্রান্ত ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

রিট দায়েরের পরে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেছিলেন, বাহাত্তরের মূল সংবিধানে ১১৬ অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালতের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব ছিলে সুপ্রিম কোর্টের। কিন্তু ১৯৭৫ এর ৪র্থ সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্টের পরিবর্তে ওই ক্ষমতা দেয়া হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এফএইচ/জেডএ/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।