বিচারপতি স্থায়ী হওয়ার আপিল শুনানি রোববার


প্রকাশিত: ০৩:২১ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

হাইকোর্টে স্থায়ীভাবে নিয়োগ না দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর করা রিট আবেদন সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল শুনানি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে রোববার অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য  রয়েছে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের চেম্বার আদালত ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করে আবেদনটি আপিলের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠাতে আদেশ দেন।

আদালতে ওইদিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মনজিল মোরসেদ বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি লিভ টু আপিল (ফাইল) আবেদন করেছিলাম। আমরা আদালতে ১৯ ফেব্রুয়ারি রোববার আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য বলেছিলাম।

অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে তা এপ্রিল মাসে শুনানির তারিখ ঠিক করার জন্য বলেছিলেন। পরে আদালত ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি স্থায়ী নিয়োগ না দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীকে আপিলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট তার আবেদন নিষ্পতি করেন। অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে দুই বছর হাইকোর্টে দায়িত্ব পালনের পর স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ না পাওয়া বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীকে আপিল বিভাগে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তার রিট আবেদন নিষ্পত্তি করেন হাইকোর্ট।

১২ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেদিন আদালত বলেছিলেন, এর আগে বাদপড়া বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন। তাই বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলীর আবেদনে হাইকোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না।

ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জনকে ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এবং পরদিন শপথ নেন তারা।

ওই দুই বছর মেয়াদ শেষে রাষ্ট্রপতি ৭ ফেব্রুয়ারি আটজনকে হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ দেন। ১০ জনের মধ্যে বিচারপতি জ্যোতির্ময় নারায়ণ দেব চৌধুরী ডিসেম্বরে মারা যান। আর মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বাদ পড়েন।

৯ ফেব্রুয়ারি ‘স্থায়ী হলো ৮ বিচারপতির নিয়োগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক যুগান্তর। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলী। নিয়োগ স্থায়ী না করার এ সিদ্ধান্ত ‘সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী’ দাবি করে আবেদনে রুল চাওয়া হয়।

তাকে স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না এবং তাকে স্থায়ী করার আগ পর্যন্ত হাইকোর্টে নতুন নিয়োগ বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রিটে বিবাদী করা হয় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে।

এখন স্থায়ী নিয়োগ না পাওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর করা রিট আবেদন সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল শুনানি নিয়মিত বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।

এফএইচ/এমআরএম/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।