মুক্তিযোদ্ধা বাছাইয়ে দূর্গাপুরের কমিটি কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট


প্রকাশিত: ০৮:৫৯ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে গঠিত রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলা কমিটির কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপ-সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক, দূর্গাপুরের ইউএনও এবং কমিটির সভাপতিকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।   

এক মুক্তিযোদ্ধার করা রিটের শুনানি শেষে বুধবার এই  আদেশ দেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে আজ শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল করিম মোল্লাকে সদস্য করে গত ১৯ জানুয়ারি রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলা কমিটি গঠন করে পরিপত্র জারি করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। কিন্তু ২৬ জানুয়ারি তাকে বাদ দিয়ে কমিটিতে সন্তোষ কুমার সাহাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। পরে ৩১ জানুয়ারি সন্তোষ কুমার পদত্যাগ করেন।

ব্যারিস্টার সিদ্দিক বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আব্দুল করিম মোল্লাকে বাদ দেয়ায় তিনি রোববার হাইকোর্টে রিট করেন। তাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া কেন অবৈধ হবে না এবং কমিটির কার্যক্রম কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এর আগে ৯ মুক্তিযোদ্ধার করা রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নির্দেশিকা এবং মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন  কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম।

তিনি জানান, ১২ জানুয়ারি এক গেজেট মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ে মহানগর ও জেলায় কমিটি করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। এছাড়া ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। পরে গত ৫ জানুয়ারি আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাছাইয়ের তারিখ পরিবর্তন করা হয়।

এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রফিকুল আলমসহ ৯ জন মুক্তিযোদ্ধা রিট করেন। তাদের দাবি, গেজেট প্রকাশের সময় ওই গেজেটকে চূড়ান্ত তালিকা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক সেই গেজেট বাতিলের ক্ষমতা আইন অনুযায়ী প্রয়োগ করা যেতে পারে।

কিন্তু তা না করে গেজেটভুক্ত সকল মুক্তিযোদ্ধাকে পুনরায় যাচাই বাছাই করার ক্ষমতা আইন অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নেই। এ কারণে অন্য কাউকে দিয়ে কমিটি করার বিধানও প্রণয়ন করা হয়নি।

এফএইচ/এমএমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।