স্থায়ী বিচারপতি হওয়ার আবেদন এখন নিয়মিত বেঞ্চে


প্রকাশিত: ০৮:৫৫ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

হাইকোর্টে স্থায়ীভাবে নিয়োগ না পাওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর করা রিট আবেদন সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল শুনানি নিয়মিত বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের চেম্বার আদালত আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করে আবেদনটি আপিলের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রিাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মনজিল মোরসেদ বলেন, “১৫ ফেব্রুয়ারি লিভ টু আপিল (ফাইল) আবেদন করেছিলাম। আমরা আদালতে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রোববার আবেদনটির ওপর শুনানি করার জন্য বলেছিলাম। অপরদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে তা এপ্রিল মাসে শুনানির তারিখ ঠিক করার জন্য বলেছিলেন। পরে আদালত আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন।”

এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি স্থায়ী নিয়োগ না দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীকে আপিলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার আবেদন নিষ্পত্তি করে দেন।

সেদিন আদালত বলেছিলেন, এর আগে বাদপড়া বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন। তাই বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলীর আবেদনে হাইকোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জনকে ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়; পরদিন শপথ নেন তারা।

ওই দুই বছর মেয়াদ শেষে রাষ্ট্রপতি গত ৭ ফেব্রুয়ারি আটজনকে হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ দেন। দশজনের মধ্যে বিচারপতি জ্যোতির্ময় নারায়ণ দেব চৌধুরী গত ডিসেম্বরে মারা যান। আর মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বাদ পড়েন।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি ‘স্থায়ী হলো ৮ বিচারপতির নিয়োগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলী। নিয়োগ স্থায়ী না করার এই সিদ্ধান্ত ‘সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী’ দাবি করে আবেদনে রুল চাওয়া হয়।

তাকে স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না এবং স্থায়ী করার আগ পর্যন্ত হাইকোর্টে নতুন নিয়োগ বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তাও চাওয়া হয় রুলে। রিটে বিবাদী করা হয় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, আই্ন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে।

এফএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।