প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপে মুক্তি পেল ৪৮ কিশোর


প্রকাশিত: ১০:৩৫ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার উদ্যোগে জামিনে মুক্তি পেয়েছে ৪৮ জন কিশোর। তারা সবাই বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়ে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের নিবাসী ছিল।

সম্প্রতি ওই উন্নয়ন কেন্দ্র পরিদর্শনের পর কিশোরদের জামিনে মুক্তির বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়কে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।

সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ মোতাবেক তাদের আইনগত সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা হয় বলে জাগো নিউজকে জানান হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ।

তিনি বলেন, কিশোরদের অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রধান বিচারপতি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে মামলার নথি পর্যালোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে লুঘু অপরাধে বন্দি থাকারা মুক্তি পেয়েছেন।

সাব্বির ফয়েজ জানান, মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রধান বিচারপতির সফরের পর দেশের বিভিন্ন আদালত থেকে জামিন মঞ্জুরের পর তাদের মুক্তি দেয়া হয়।

জানা গেছে, দেশের দুটি উন্নয়ন কেন্দ্রে ৫২০ কিশোর-কিশোরী রয়েছে। এর মধ্যে ৪১১ কিশোর এবং ১০৯ কিশোরী। কিশোরীদের মধ্যে একজন হত্যা মামলায়, ৩১ জন চুরি, দুইজন মানবপাচার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একজন বন্দি রয়েছে। এছাড়া ৫২ জন ভিকটিম, ৫১ জন নিরাপদ হেফাজতি রয়েছে।

এদিকে কিশোরদের মধ্যে ৯৮ জন নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে, ৫৭ জন চুরি, ৪৬ জন মাদক মামলায় আটক রয়েছে। এদের মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী রয়েছে ২৯২ জন।

গত ২৬ জানুয়ারি গাজীপুরে কিশোরী এবং টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রধান বিচারপতি। ওই সময় কিশোর-কিশোরীরা প্রধান বিচারপতিকে কাছে পেয়ে তাদের সমস্যা তুলে ধরেন।

এদের অনেকেই প্রধান বিচারপতিকে বলেন, অপরাধ না করার পরেও বিভিন্ন মামলায় তাদেরকে আসামি করা হয়েছে। এরপরই প্রধান বিচারপতি কিশোরদের মুক্তির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন।

এফএইচ/এএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।