রানা প্লাজা ধস : ১৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ ১২ এপ্রিল
সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ইমারত নির্মাণ আইনে দায়ের করা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার আসামি পক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাকশ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত ও পঙ্গু হন আরও প্রায় দুই হাজার শ্রমিক।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন ওই দিন সাভার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ১৩০ জনকে।
মামলার আসামিরা হলেন- ভবন মালিক সোহেল রানা (কারাগারে), রানার মা মর্জিনা বেগম, রানার বাবা আবদুল খালেক, সাভার পৌরসভার তৎকালীন মেয়র রেফাত উল্লাহ, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী খান, সাভার পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান (পলাতক), সাভার পৌরসভার সাবেক নিবার্হী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম (কারাগারে), সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নিবার্হী প্রকৌশলী উত্তম কুমার রায়, সাভার পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম (পলাতক), মাহবুবু আলম (পলাতক), ঠিকাদার নান্টু (পলাতক), রেজাউল ইসলাম (পলাতক), সাভার পৌরসভার সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রকিবুল হাসান, সারোয়ার কামাল, বজলুস সামাদ আদনান, মাহমুদুর রহমান, আমিনুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান।
২০১৬ সালের ১৪ জুন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
জেএ/এমএমজেড/পিআর