সময় পেলেন খালেদা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আত্মপক্ষ সমর্থন মুলতবি রাখার জন্য সময় পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আগামী বৃহস্পতিবার খালেদার আবেদনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
সোমবার ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে জিয়া অরফানে মামলার আত্মপক্ষের সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। আজ বেলা ১১ টা ১১ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হন।
এসময় তার আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া আত্মপক্ষের সমর্থন মুলতবি রাখার জন্য সময়ের আবেদন দাখিল করেন। সময়ের আবেদনে উল্লেখ্য করা হয়, মামলাটির সঠিক তদন্ত হয়নি। তাই মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার আবেদন জানাচ্ছি।
আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার আপনাদের এই আবেদনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। ওইদিন সকল আসামিকে উপস্থিত থাকতে হবে।
এরপর খালেদা জিয়া বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে বিশেষ আদালত ছেড়ে চলে যান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে হাজির না হওয়ায় সময়ের আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও এম হেলাল উদ্দিন।
অপরদিকে দুদুকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল মামলার আসামি খালেদা ও তারেকের জামিন বাতিলের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং বেগম খালেদা জিয়া যদি সোমবার আদালতে হাজির না হয় তার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলেন।
এ দিন মামলার আসামি মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষের সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান(পলাতক)।
জেএ/এসএইচএস/আরআইপি