বিচার বিভাগ সবচেয়ে অবহেলিত : প্রধান বিচারপতি
রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সবচেয়ে অবহেলিত খাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা। সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগে হাজার হাজার মামলা। মাসের পর মাস অনেক আসামি হাজিরার সুযোগই পান না। বিচার বিভাগে সঙ্গতকারণে একটু সমস্যা আছে। এই খাত সবচেয়ে অবহেলিত।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের রেজিস্ট্রি ম্যানুয়ালি করা হয়। ডিজিলাইজেশন পদ্ধতি এখনো চালু করা যায় নি। হাজার হাজার মামলা। কয়েদির হাজিরার তথ্য রেজিস্ট্রি হাতে করা হয়। মাসের পর মাস অনেকে কয়েদি হাজিরার সুযোগ পান না। তা ট্রেস করা যায় না। আমি কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে এ সমস্যা দেখেছি।
তিনি আরো বলেন, আমার জন্য বিচারপতি হিসেবে সবচেয়ে মর্মান্তিক হবে যদি বিনা বিচারে কেউ কারাগারে থাকেন। একটা প্রবাদ আছে আমরা বিনা বিচারে ১০০ জন অপরাধিকে ছাড়তে পারি কিন্তু নির্দোষ একজনকেও আটকে রাখতে পারি না। তা মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হবে।
এসকে সিনহা বলেন, ঢাকা জজকোর্ট এতো কনজাসটেড যে ফাইল রাখা যায় না। যাতায়াত ব্যবস্থাও খারাপ। আমি নিজে বার অ্যাসোসিয়েশনে গিয়েছি সাহস করে। তাদের বলেছি ম্যাজিস্ট্রেসি যদি কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করার জণ্য। কেরানীগঞ্জে জায়গাও আছে। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি জানেন। আইনজীবীরাও প্রথমে রাজি হয় নি। পরে বোঝাতে সক্ষম হওয়ায় তারাও রাজি হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে নিম্ন আদালতে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে কেন তা আমি জানি না। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে আবারও বলবো, ক্লাউডি জায়গা। আসামি ও কয়েদিদের যাতায়াত করতে ১২টা বাজে। ফিরতে সন্ধ্যা হয়। যদি ম্যাজিস্ট্রেসি কোর্ট স্থানান্তর করা যায়, তবে অর্থ বাঁচবে এবং যাতায়াতের সুবিধাও হবে।
সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বলেন, বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত মামলায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের ও মামলার ফাইল স্বচক্ষে দেখতে এখানে এসেছি। যাদের দীর্ঘদিন থেকে বিচার হচ্ছে না তাদের মামলা সনাক্ত করে নোট নিয়ে যাবো। সেসবের দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আইজি প্রিজন আমাকে এখানে আসনের চেয়ে কয়েদি বেশির কথা জানিয়েছেন। তা আমলে নেয়া হবে। সেজন্য আমরা ৪ জন কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। নোট করা হবে কারা বিনাবিচারে এখানে দীর্ঘ দিন ধরে আটক আছেন।
জেইউ/এআরএস/এমএস