স্টার জলসা জি বাংলা বন্ধে রিট শুনানি রোববার
নিজস্ব সংস্কৃতি হারিয়ে যাওয়া ও পারিবারিক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগে দেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা বন্ধ সংক্রান্ত রিটের চূড়ান্ত শুনানির জন্য ৮ জানুয়ারি (রোববার) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
রিটকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ভারতীয় এ তিন টিভি চ্যানেল বন্ধে নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ। রুলে তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়।
এর আগে ডাক ও রেজিস্ট্রি যোগে এ বিষয়ে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। ২০১৪ সালের ২ আগস্ট একটি দৈনিকে ‘পাখি প্রেমে প্রাণ বিসর্জন’ শিরোনামে প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ঘরে ঘরে বাড়ছে ভারতীয় ধারাবাহিক নাটকের জনপ্রিয়তা। এসব সিরিয়ালপ্রীতির কারণে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ক্রমেই দর্শক হারাচ্ছে, দেশ হারাচ্ছে নিজস্ব সংস্কৃতি। কিশোরী-তরুণীদের ফ্যাশনেও এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সর্বশেষ ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসার ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের ‘পাখি’র প্রেমে প্রাণ গেল এক যুবক ও মেয়ে শিশুর। ‘পাখি চরিত্রে রূপদানকারী তরুণীর পোশাকের অনুকরণে এবার ‘পাখি’ নামের একটি পোশাক দেশের ঈদ বাজারে জমজমাট ব্যবসা করেছে। ঈদে চড়া মূল্যের এ জামা নতুন স্ত্রীকে কিনে দিতে না পারার ব্যর্থতায় আত্মহত্যা করেছে এক যুবক। ঈদের আগের দিন বগুড়ার শেরপুরের নন্দতেঘরী গ্রামে শাহীন নামের ওই যুবক আত্মঘাতী হয়।
‘পাখি’র মরণকামড় থেকে ছাড় পায়নি ১০ বছরের শিশুও। পাখি নামের পোশাক না পেয়ে অভিমানে ঈদের দুদিন আগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নূরজাহান নামে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এ কারণেই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জনস্বার্থে ভারতীয় চ্যানেলে বন্ধ চেয়ে রিট করা হয় বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
এফএইচ/জেএইচ/এএইচ/এমএস