বর্ষবরণে যৌন হয়রানি : কামালের বিরুদ্ধে চার্জশিট


প্রকাশিত: ০৩:৪৪ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬

পহেলা বৈশাখে শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো. কামালকে (৩৫) আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার ঢাকা সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় মামলা তদন্ত কর্তমর্তা পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক এ চার্জশিটটি দাখিল করেন। মামলায় সাক্ষী করা হয় ৩৪ জনকে।

শাহবাগ থানার আদালতের জিআর কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পার্থ চ্যাটার্জি জাগো নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার পহেলা বৈশাখে শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কামালকে (৩৫) আসামি চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৩৪ জনকে।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের খাজী দেওয়ান রোডের প্রথম লেনের ৭৭ নম্বর বাড়ি থেকে মো. কামালকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (ডিবি)।

২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারীদের লাঞ্ছনার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আট লাঞ্ছনাকারীকে শনাক্তের পর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ করে পুলিশ।

তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

এরআগে ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস। ওই প্রতিবেদনে আসামি খুঁজে না পাওয়ার কথা বলা হয়। এতে আরো বলা হয়, বর্ষবরণে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত ৮ যৌন হয়রানিকারীকে গ্রেফতার করা যায়নি।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ৮-১০ জন দুষ্কৃতকারী কতিপয় নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। তবে ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার।

জেএ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।