জুয়া খেলা চালিয়ে যেতে পারবে ১৩ ক্লাব


প্রকাশিত: ০৭:১৯ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬

ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি ক্লাবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলার ওপর হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যেই জুয়া খেলার বিষয়ে জারি করা হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত। তবে রুল নিষ্পত্তির নির্দিষ্ট সময় দীর্ঘায়িত করার জন্য কেউ মূলতবির আবেদন করতে পরবে না অর্থাৎ সময় ক্ষেপন করা যাবে না বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার মামলার আপিল শুনানি শেষে জাগো নিউজকে এই তথ্য জানান ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজিব।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ১৩ ক্লাবের পক্ষে করা লিভ টু আপিল শুনানি করে রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে ১৩ ক্লাবের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অপরদিকে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ ও মিজানুল হক চৌধুরী। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রেদোয়ান আহমেদ রানজিব।

ব্যারিস্টার রানজিব জানান, হাইকোর্ট ১৩টি ক্লাবে টাকা দিয়ে জুয়া খেলার ওপর হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। ক্লাবগুলোর পক্ষে করা (সিভিল পিটিশন) লিভ টু আপিল শুনানি করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিমকোর্ট।

আপিল শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি রিটকারীদের প্রতি উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আমার জানামতে পাঁচটি স্থানে জুয়া চলছে। যারা জুয়া খেলা কন্ট্রোল করবে তারাই এর সঙ্গে জড়িত।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর বিচারপতি কামারুল ইসলাম সিদ্দিকী ও শেখ হাসান আরিফের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৩ ক্লাবে জুয়া খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। পরে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন ঢাকা ক্লাব কর্তৃপক্ষ। আজ সেই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।

অন্যান্য ক্লাবগুলো হলো-গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।

হাইকোর্টের আদেশে সংশ্লিষ্ট ক্লাবের চেয়ারম্যান বা প্রেসিডেন্টকে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে জুয়া জাতীয় অবৈধ ইনডোর গেম যেমন কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা যাতে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময় হয়ে থাকে তা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন ঢাকা ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোনো প্রকার জুয়া খেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।

এফএইচ/এমএমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।