হত্যা মামলা : দুই শিশু আসামিকে ক্ষতিপূরণ কেন নয়


প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৬

হত্যা মামলার আসামি দুই শিশুর পরিবারকে কেন ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে আদালত।একইসঙ্গে ওই দুই শিশুকে গ্রেফতার করা শিশু আইনের কয়েকটি ধারার পরিপন্থি কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, মূখ্য মহানগর হাকিম, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, লালবাগ বিভাগের উপ কমিশনার ও কামরাঙ্গীর চর থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ  এ রুল জারি করেন।আদালতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৪ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘লাশের পরিচয় মেলেনি, খুনি সন্দেহে ২ শিশু গ্রেফতার’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করা হয়। আদালত রুলসহ অন্তবর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া ৪ জানুয়ারির মধ্যে ওই দুই শিশুর বয়স নির্ণয় করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিতে লালবাগের ডেপুটি কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

পত্রিকাটির প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় দুই মাস আগে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের ১০ দিন পর নিখোঁজ  দাবি করে শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।পরে খুনি সন্দেহে পুলিশ দুই শিশুকে গ্রেফতার করে। বিচারিক হাকিম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে তাদের টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠায়।

গত ১ অক্টোবর রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের কালুনগর খাল থেকে পুলিশ এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে। পরে তা বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম দাফন করে। এদিকে ২৯ সেপ্টেম্বর লালবাগ এলাকা থেকে আলিফ নামের নয় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে শিশু আলিফের বাবা উজ্জ্বল ভূঁইয়া। পরে ১১ অক্টোবর রাতে আলিফের বাবা বাদি হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় দুই শিশুর নামে খুনের মামলা করেন।

অজ্ঞাত পরিচয় লাশটি তার ছেলের বলে তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন। ওই দুই শিশু মিলে আলিফকে গলা টিপে হত্যা করে কালুনগর খালের পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছে। আলিফের বাবা তখনই এক শিশুকে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ রাত দেড়টার দিকে অপর শিশুকে গ্রেফতার করে। শিশু আইন, ২০১৩ এর ৪৪/১ ধারা অনুযায়ী, নয় বছরের কম বয়সী কোনো শিশুকে গ্রেফতার কিংবা আটক করা যাবে না।

মামলার এজাহারে শিশু দুটির বয়স বলা হয়েছে ১২ বছর। কিন্তু অভিভাবকরা বলছেন, তাদের বয়স নয় বছরের কম। আদালতে জন্মসনদ দাখিল করে মামলা থেকে এক শিশুর অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। ওই সনদে দেখা যায় তার জন্ম তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০০৮।

এফএইচ/ওআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।