হুমায়ুন আজাদ হত্যাকাণ্ড : ডা. শহিদুলকে খুঁজে পায়নি পুলিশ
ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ডা. শহিদুল ইসলামকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর রমনা থানার উপ-পরিদর্শক ইলিয়াস হোসেন তাকে খুঁজে না পেয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে।
প্রতিবেদনে পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইলিয়াস হোসেন বলেন, সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ডা.শহিদুলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত হলে তাকে পাইনি। তিনি ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট ডিজি অফিসে কোর্সে গেছে। তাই তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করা সম্ভব হয়নি।
হুমায়ুন আজাদ আহত হওয়ার সময় ডা.শহিদুল ইসলাম সহকারী রেজিস্ট্রার (সিবিএ) হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। হুমায়ুন আজাদের শরীরের জখমের পরীক্ষা করেন তিনি।
মামলায় তাকে ৩৩ নং সাক্ষী করা হয়েছে। তাকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ২০১৫ সালের ১৯ মে সমন জারি করেন আদালত। সাক্ষ্য দিতে না আসায় ২০১৬ সালের ৫ জুন তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলায় ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৩৮ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন।
ওই হামলার পর হুমায়ুন আজাদ ২২ দিন সিএমএইচে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ১২ আগস্ট তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
এ মামলায় জেএমবির শূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।মামলার আসামিরা হলেন, জেএমবির শূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ, নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু (পলাতক) ও সালাহউদ্দিন (পলাতক)।
জেএ/ওআর/এমএস