সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী-ছেলেকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ


প্রকাশিত: ০৯:৫৯ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৬
ফাইল ছবি

রায় ফাঁসের ঘটনায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট থেকে দেয়া আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর ছয় সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে তাদের।

মঙ্গলবার এ ঘটনায় আসামি মাহবুবুল আহসানের জামিন শুনানিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

একই সঙ্গে রায় ফাঁসের মামলায় খালাসের রায় বাতিল করে তাদের কেন (রিজেনাবল) সুযোগমত সাজা দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শহীদুল ইসলাম খান বলেন, ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় ফাঁসের ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিনি জানান, রায় ফাঁসের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মাহবুবুল আহসানের আপিল গ্রহণ করে মঙ্গলবার স্বপ্রণোদিত হয়ে আদালত এই আদেশ দেন।

তিনি আরও জানান, ‘আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার ৬ সপ্তাহ পর সাকা চৌধুরীর স্ত্রী-পুত্রকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন আদালত। আত্মসমর্পণের পর তাদের জামিন দিতে বলা হয়েছে।’

আবেদনের পক্ষে আদালতে আজ ব্যারিস্টার সাজ্জাদ আলী চৌধুরী শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল  মো. জহিরুল হক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো.শহীদুল ইসলাম খান।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর সাকা চৌধুরীর মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলায় ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে খালাস দেন আদালত। বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। তবে এ মামলায় অন্যতম আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলামকে আদালত ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন।

এছাড়া আদালত মামলার অন্য আসামি সাকা চৌধুরীর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসান, ব্যারিস্টার ফখরুলের সহকারী মেহেদি হাসান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেনকে সাত বছর কারাদণ্ড  দেন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের দেখান। পরদিন ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।   

এফএইচ/ওআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।