ভবন নির্মাণে সব আইন লঙ্ঘন করেছে বিজিএমইএ


প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারী ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র ১৮তলা ভবন ভাঙার হাইকোর্টের রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও বহাল রেখেছেন। আজ (মঙ্গলবার) আপিল বিভাগের সেই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, বিজিএমইএ’র ভবনটি নির্মাণে ইমারত বিল্ডিং নির্মাণের সব আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চের দেওয়া ৩৬ পৃষ্ঠার রায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে (লিভ টু আপিল) বিজিএমইএ’র আবেদন গত ২ জুন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

রায়ে বলা হয়েছে, ভবন নির্মাণের জন্য জলাধার আইন- ২০০০ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন- ১৯৯৫ অনুযায়ী পরিবেশগত ছাড়পত্র নিতে হয়। তবে বিজিএমইএ ভবনের ক্ষেত্রে তা অনুপস্থিত। অবৈধভাবে জমি হস্তান্তরের পর অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটি দেশের সব আইন লঙ্ঘন করে নির্মাণ করা হয়েছে- এটা বলতে আমাদের কোনো দ্বিধা নেই।

রায়ে আরো বলা হয়েছে, ভবন ভাঙার খরচ বিজিএমইএকেই বহন করতে হবে। বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউক ভবনটি অপসারণ করবে। এ জন্য বিজিএমইএ’র কাছ থেকে খরচ নেয়া হবে।

এদিকে রায়টি দ্রুত কার্যকরের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে রাজউককে রায়ের কপি সরবরাহ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ ভবনের বিষয়ে হাইকোর্ট আর যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন তাও বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

তবে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করতে পারবে।

এফএইচ/আরএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।