ডেসটিনির দুই কর্তার জামিনে ৩ হাজার কোটি টাকা শর্ত


প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০১৬

তিন হাজার কোটি টাকা জমা দেওয়ার শর্তে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনের মান লিন্ডারিং মামলায় জামিনের বিবেচনা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে ওই টাকা কোন প্রক্রিয়া জমা দেওয়া হবে তার একটি লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

জামিনের বিরুদ্ধে করা দুদকের লিভ-টু-আপিলের ওপর শুনানিতে সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে এই নির্দেশনা দেন।

শুনানির একপর্যায়ে ডেসটিনির কৌঁসুলির উদ্দেশে আদালত বলেন, মামলার অভিযোগপত্রে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিন তখন জামিনের বিষয়টি দেখবো।
 
গত ২০ জুলাই বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ শর্ত সাপেক্ষে ডেসটিনির রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসাইনকে জামিন দেয়। শর্তের মধ্যে ছিলো সংশ্লিষ্ট থানায় পাসপোর্ট জমা ও বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ এই জামিন স্থগিত করে দেয়।
 
সোমবার শুনানিতে ডেসটিনির কৌঁসুলি ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউ সি বলেন, ডেসটিনির কর্ণধাররা চার বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। দুদক অর্থ পাচারের অভিযোগে যে মামলা করেছে তা সঠিক নয়। তাদের জামিন বহাল রাখা হোক।

জবাবে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, এই মামলায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানেই অর্থ পাচারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ফলে তাদের জামিন বহাল রাখা ঠিক হবে না। আদালত আগামী ১০ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
 
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক।

এফএইচ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।