গ্রেনেড হামলা : তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত


প্রকাশিত: ০৯:৫৮ এএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৬
ফাইল ছবি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আকন্দের সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা। তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। মামলায় ৫১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ ওই হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় পরদিন মতিঝিল থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পুলিশের তদন্তের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। পরে মামলাটি যায় সিআইডিতে। ২০০৮ সালের ১১ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি তদন্তের ভার পান সিআইডির পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নামযুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন। তবে মামলায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তার নাম বাদ দেওয়ায় এখন আসামির সংখ্য ৫১।

৫১ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ পলাতক ১৮ জন। জামিনে রয়েছেন ৮ জন এবং কারাগারে রয়েছেন ২৫ জন।

জেএ/জেএইচ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।