শিশু জিহাদের মৃত্যু : ৬ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু


প্রকাশিত: ০৯:৪১ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৬

রাজধানীর শাহজাহানপুরে ওয়াসার পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর মামলায় রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপ সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন সাক্ষ্য প্রদান করেন। তার সাক্ষ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। পরবর্তী জেরা ও সাক্ষ্য আগামীকাল বুধবার (১৯ অক্টোবর) দিন ধার্য করেন আদালত।

২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শাহজাহানপুর কলোনির মাঠে খেলতে গিয়ে শিশু জিহাদ ওয়াসা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অরক্ষিত পাইপে পড়ে মারা যান। দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা অভিযান চালানোর পরও ফায়ার সার্ভিস তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তী সময়ে সাধারণ লোকজন তাদের নিজস্ব যন্ত্রপাতি দিয়ে শিশু জিহাদের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জিহাদের বাবা ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর ফৌজদারি আইনের ৩০৪/ক ধারায় মামলা করেন।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনির একটি পানির পাম্পে লোহার পাইপ দিয়ে কূপ খনন করা হয়। কূপে কোন প্রকার নিরাপদ ব্যবস্থা না করে কূপের মুখ খোলা রাখা হয়। এ কারণে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। ফলে ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাদীর ছেলে জিহাদ কূপের পাশে খেলা করার সময় পাইপে পড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় ‘দায়িত্বে অবহেলায়’ জিহাদের মৃত্যুর অভিযোগ এনে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন নাসির উদ্দিন।

২০১৬ সালের ৩১ মার্চ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপ সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, দীপন কুমার ভৌমিক, নাসির উদ্দিন ঠিকাদার, শফিকুল ইসলাম ও ইলেকট্রিশিয়ান জাফর অাহম্মেদ শাকি।

২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান।

জেএ/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।