বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে : প্রধান বিচারপতি


প্রকাশিত: ০৩:৪৬ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৬
ফাইল ছবি

যে জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিলো সেই প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র (এস কে) কুমার সিনহা। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে বিচার বিভাগ। শাসন বিভাগের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই বিচার বিভাগ কাজ করছে।  

স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত এস্টোরিয়ার ক্লাব সনমে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ল` সোসাইটি নিউইয়র্ক। যুক্তরাষ্ট্রে আইন পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, সি ও ডি গ্রেডের ছোট যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল টিকিয়ে রাখার দরকার নেই। জেলা জজ পর্যায়ের বিচারপতিদের মাধ্যমে এসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষে মামলাগুলোর আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসলেই হবে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য পত্র পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে।

প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি-আমেরিকান আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ ল’ সোসাইটি বাংলাদেশের মানবাধিকার ও বিচার বিভাগের ভূমিকা শীর্ষক এ মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আগে সবাই বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক সরকারের অঙ্গ হিসেবে মনে করতেন। প্রকৃত অর্থে বিচার বিভাগ হচ্ছে রাষ্ট্রের অঙ্গ এবং এখন হান্ড্রেড পার্সেন্ট স্বাধীনতা নিয়ে বিচার বিভাগ কাজ করছে।

এস কে সিনহা বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারায় বাংলাদেশে আর কখনও সামরিক শাসন আসবে না। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন বলেই মার্শাল ল’ আর কখনও বাংলাদেশের মানুষের ওপর চেপে বসার সুযোগ পাবে না। আইন বিভাগ মার্শাল  ল’ কে চিরতরে কবর দিতে সক্ষম হয়েছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোর্শেদা জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিচারপতি আবুল তারেক, বিচারপতি এম আর হাসান, সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, আইনজীবী অশোক কর্মকার, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান।

এফএইচ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।