সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা : সাক্ষী না আসায় তারিখ পেছাল


প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু আদালতে কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় সময়ের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ বিচারক এস এম জিয়াউর রহমান সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। বিভিন্ন সময়ে হত্যা মামলায় ২৫ জন এবং বিস্ফোরণ মামলায় ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে সিপিবির সমাবেশ চলাকালে বোমা হামলায় পাঁচজন নিহত ও আহত হন আরো অনেকেই। নিহতরা হলেন- খুলনার বটিয়াঘাটার হিমাংশুমণ্ডল, খুলনার রূপসা উপজেলার আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরার আবুল হাসেম, মাদারীপুরের মুক্তার হোসেন ও খুলনা বিএল কলেজের ছাত্রইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস।

এ ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান মতিঝিল থানায় মামলা করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোমিন হোসেন।

এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার সঙ্গে যোগসূত্র পেয়ে ২০০৫ সালে আবার মামলার তদন্ত শুরু হয়। ওই হামলায় মামলা হওয়ার পর ১৩ বছর পর ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মৃণাল কান্তি সাহা ১৩ জন আসামি চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ ইমরায়ুল কায়েস।

অভিযুক্তরা হলেন- মুফতি আবদুল হান্নান, আরিফ হাসান সুমন, আবদুল হান্নান, মাওলানা সাব্বির ও মাওলনা শেখ ফরিদকে আদালতে আনা হয়। অন্য অভিযুক্ত আবদুল হাই, শফিকুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, ইসহাক, মাহাবুব মুস্তাকিম, আনিসুর মুরসালিন ও সিরাজুল ইসলাম পলাতক।

জেএ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।