টাকা পরিশোধের শর্তে কার্যক্রম চালানোর সময় পেল সিটিসেল
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর মধ্যে প্রথম মাসে পুরো টাকার দুই ভাগ (দুই -তৃতীয়াংশ) ও পরবর্তী মাসে বাকি টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
এই আদেশের ফলে টাকা পরিশোধ করার শর্তে দেশের সবচেয়ে পুরনো মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যক্রম চালাতে পারবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহাসিব হোসেন।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে বিটিআরসির করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরদিকে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, খন্দকার রেজা-ই রাকিব ও মাহাসিব হোসেন।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও মাহাসিব হোসেন বলেন, ‘টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে সিটিসেল তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে। একইসঙ্গে ১৭ আগস্ট প্রতিদিনের ১৮ লাখ টাকা অবিলম্বে পরিশোধ করতে বলেছেন আদালত। অন্যথায় বিটিআরসি যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে।’
এর আগে ২২ আগস্ট ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ না করতে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের হাইকোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় সম্প্রতি সিটিসেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পরে তাদের এক সপ্তাহ সময় দেওয়ায় ২৩ আগস্ট কোম্পানিটি বন্ধ হওয়ার কথা ছিল। বিটিআরসির সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিটিসেল আজ হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। সেই আবেদনের পনিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে গত বছর সিটিসেলের অন্যতম অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক তাদের ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার মার্কিন ডলারের পাওনার জন্য একটি মামলা করে। সেই মামলার শুনানিকালে ১৭ আগস্ট হাইকোর্টের একই বেঞ্চে সিটিসেলের কাছে পাওনা ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা দাবি করে বিটিআরসি। ওই মামলায় ৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
এফএইচ/এসএইচএস/এবিএস