ট্রাইব্যুনাল সরালেও বিচারে প্রভাব পড়বে না : অ্যাটর্নি জেনারেল


প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, ২৪ আগস্ট ২০১৬

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, পুরনো হাইকোর্ট ভবন থেকে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্যত্র সরিয়ে নিলেও তাতে বিচার কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে না।

বুধবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধান বিচারপতি যদি মনে করেন পুরনো হাইকোর্ট ভবনটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের প্রয়োজন তাহলে নিশ্চয় রাষ্ট্র যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের জন্য অন্যত্র জায়গা ঠিক করে দেবে। এ নিয়ে উদ্বেগের কেনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার করছেন বিচারপতিরা। এখানে ভবনের কোনো গুরুত্ব নেই। ট্রাইব্যুনালের রায়ের মধ্য দিয়েই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ঘটনাপুঞ্জি সংরক্ষিত থাকবে।

প্রধান বিচারপতি যদি মনে করেন, যেখানে বিচার হচ্ছে, এই ভবন প্রয়োজন, রাষ্ট্র নিশ্চয়ই বিচারের স্থান ঠিক করে দেবে। এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। বিচার প্রক্রিয়ায় এটার কোন প্রভাব বিস্তার করবে না।

তিনি বলেন, আসলে আদালতের প্রচুর জায়গা দরকার। জায়গা না থাকায় বিচারপতিরা বারান্দায় বসছেন। রেকর্ড যেভাবে রাখা হচ্ছে, তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সত্যিকার অর্থে এই ভবন যখন করা হয়েছে, তখন পূর্ব পাকিস্তান একটা প্রদেশ ছিল। এখন বাংলাদেশ একটা স্বাধীন রাষ্ট্র।

পৃথিবীর অন্য দেশে যেভাবে আন্ডারগ্রাউন্ডে রেকর্ড রুম থাকে, আমাদের সেভাবে চিন্তা করতে হবে। আমার খুব বেশি টেনশন হলো, এগুলো স্থানের অভাবে যেভাবে রাখা হয়েছে বা সুপ্রিম কোর্টের নথিগুলো যেভাবে আছে, সেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

এই ভবনটা দেখতে খুবই সুন্দর। এটা হয়েছে ১৯০৫ সালে। কাজেই সময়ের দিক থেকে এই ভবনটা এমন কোনো পুরনো ভবন নয়। যুদ্ধাপরাধের বিচার করেছেন বিচারকরা। বিল্ডিং করেনি। সেগুলো সংরক্ষিত হবে রায় দিয়ে। রায়গুলো চিরদিন থাকবে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংরক্ষণের প্রয়োজন এই জন্য যে, বহুদিন ধরে এটা খোলা ময়দান হিসেবে আছে। ঐতিহাসিক কিছু ঘটনা ঘটেছে এখানে। এই রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের শুরু হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে। এগুলো সরকার ও জনগণের অভিমতের ভিত্তিতে যাই হোক করা হবে। এটা কোনো অভিমত দেয়ার বিষয় নয়।

উল্লেখ্য, গত সোমবার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্যত্র সিরিয়ে নিতে আইন মন্ত্রণালয়েক চিঠি দেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/এমএমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।