সময় পেল সিটিসেল


প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৬

মোবাইল ফোন অপারেটর প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড সিটিসেলের কার্যক্রমে বিটিআরসিকে হস্তক্ষেপে না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারবে সিটিসেল।

সোমবার সিটিসেল কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের একক বেঞ্চে নির্দেশনা দিয়ে এই আদেশ দেন।

আদালতে সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। আদালতে চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানজিব-উল-আলম। বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট বুধবার সিটিসেলের বিরুদ্ধে পাওনা আদায়ে হাইকোর্টে মামলা করে অন্যতম অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। ওই দিন শুনানিকালে বিটিআরসি তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। সিটিসেলের কাছে তাদের পাওনা ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার। এই মামলায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকেও (বিটিআরসি) বিবাদী করা হয়।

২৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) থেকে সিটিসেলের সকল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। এর বিপরীতে একদিন সময় হাতে নিয়ে সিটিসেলের পক্ষ থেকে আপিল করার পর সোমবার হাইকোর্ট নির্দেশনা দিয়ে এ সংক্রান্ত রুল জারি করেন।

সিটিসেলের কাছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে সরকারের। বার বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও টাকা পরিশোধ না করায় এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

ইতোপূর্বে সিটিসেলের প্রায় পাঁচ লাখ গ্রাহককে অন্য অপারেটরের সেবা গ্রহণেরও পরামর্শও দেয়া হয়েছে। এর আগে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিটিআরসি ১৬ আগস্টের মধ্যে গ্রাহকদের অন্য অপারেটরের সেবা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল।

এদিকে সিটিসেলের বিলুপ্তি সংক্রান্ত আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

বিটিআরসির আইনজীবী জানিয়েছেন, তাদের পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা যাতে প্রথমেই পান সে বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছেন তারা। আর সিটিসেলের আইনজীবী বলেছেন, শিগগিরই শেয়ার বিক্রির টাকা এলে শোধ করা হবে দেনা, তখন সিটিসেল বিলুপ্ত ঘোষণার প্রয়োজন হবে না।

২০১৫ সালের ২৬ জুলাই চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক তাদের পাওনা ৩২ মিলিয়ন ডলার আদায়ের জন্য প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড সিটিসেলের বিলুপ্তি চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে আবেদন করে।

অপরদিকে মামলার শুনানি চার সপ্তাহ পেছানোর আবেদন করেন সিটিসিলের আইনজীবী মো. আসাদ। আদালত সিটিসেলের সময় আবেদন ও বিটিআরসির অর্থ চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য ৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

 এফএইচ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।