কর্ণফুলী পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ


প্রকাশিত: ০৮:১৪ এএম, ১৬ আগস্ট ২০১৬

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উভয় পাড় ঘেঁষে তৈরি করা (সরকারি-বেসরকারি) দুই হাজার ১৮১টি অবৈধ স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রায় পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় স্থাপনা অপসারণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার জন্য বলা হয়েছে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এসকল স্থাপনা সরানোর জন্য বলা হয়েছে।

আদালতের রায়ে বলা হয়, নৌবাহিনীর বা জেটিসহ সরকারি ছয়টি স্থাপনা সরানোর (অপসারণ) দরকার নেই। তবে পরিবেশ অধিদফতর থেকে অনুমতি নিতে এবং অধিদফতর কর্তৃপক্ষ এই ছয় প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র সংক্রান্ত বিষয় সু-দৃষ্টিতে দেখবে।

আদালত তার রায়ে বলেন, দেশের নদীর তীরে কোনো ধরণের অবৈধ স্থাপনা করা যাবে না। একই সঙ্গে কর্ণফুলী নদীর তীরে সরকারি-বেসরকারি সকল স্থাপনা সরানো হবে। এছাড়া ৯০ দিনের মধ্যে স্থাপনা না সরালে চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন ও ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের তা সরানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক।

এর আগে গত সপ্তাহে এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

কর্ণফুলী নদী সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে মনজিল মোরসেদ। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ১৮ জুলাই হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদী সংরক্ষণ এবং নদী দখল করে গড়ে উঠা স্থাপনা অপসারণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এই মর্মে রুল জারি করে।

এছাড়া নদীর তীর দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনার তালিকা আদালতে দাখিল করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশের পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা ও স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা এবং দূষন রোধকল্পে নদীর ডান তীরবর্তী (হর প্রান্ত) এলাকা সীমানা তৈরি করা হয়। এছাড়া কমিটি বিএস এবং আরএস জরিপের ম্যাপ অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর অবস্থান, নদীর অংশে ভরাটকৃত জমি ও দখলদারদের অবস্থান পৃথক রং দ্বারা চিহ্নিত করে। গত বছরের ৮ নভেম্বর জেলা প্রশাসনের ওই তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।   

এফএইচ/একে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।