মানবতাবিরোধী অপরাধ : জামালপুরের ৮ জনের রায় আজ


প্রকাশিত: ০৩:৫০ এএম, ১৮ জুলাই ২০১৬

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালপুরের অ্যাডভোকেট শামসুল আলম এবং এসএম ইউসুফ আলীসহ আটজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আজ। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গতকাল রোববার এ দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

মামলার আট আসামির মধ্যে অ্যাডভোকেট শামসুল হক এবং এসএম ইউসুফ আলী কারাগারে। বাকি পলাতক আসামিরা হলেন- মো. আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. আব্দুল হান্নান, মো. আব্দুল বারী, মো. হারুন ও মো. আবুল কাসেম।

গত ১৯ জুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক পেশ করার পর মামলাটির রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করা হবে মর্মে অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ এবং তাকে সহায়তা করেন প্রসিকিউটর হৃষিকেশ সাহা, জেয়াদ আল মালুম, সুলতান মাহমুদ সিমন, জাহিদ ইমাম, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতান চমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট গাজী মো. তমিম।

এরআগে গত বছরের ২৬ অক্টোবর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। গত ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তারপর ২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই বছরের ২৯ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে গত ২২ জুলাই পলাতক জামালপুরের ছয় রাজাকারকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামিদের বিরুদ্ধে আনা ৯২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে আটজনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও গুমের সুনির্দিষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের পাঁচটি অভিযাগ আনা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৬ পৃষ্ঠার দালিলিক প্রমাণ এবং ৪০ জন সাক্ষী রয়েছেন। এছাড়া অভিযুক্তদের অপরাধ সংঘটনের সময়কাল ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।