কক্সবাজারের ১৪ জনের পক্ষে তিন আইনজীবী নিয়োগ


প্রকাশিত: ০৯:০৫ এএম, ১৪ জুলাই ২০১৬

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ছালামতউল্লাহ খানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের (চার্জ) শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে তিনজন আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত। আইনজীবীরা হলেন, আব্দুস সুবহান তরফদার, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ও আবুল হাসান।

ছালামতউল্লাহ খান ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মৌলভী জকরিয়া শিকদার, মো. রশিদ মিয়া বিএ, অলি আহমদ, মো. জালাল উদ্দিন, মৌলভী নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল, মমতাজ আহম্মদ, হাবিবুর রহমান, মৌলভী আমজাদ আলী, মৌলভী আব্দুল মজিদ, বাদশা মিয়া, ওসমান গণি, আব্দুল শুক্কুর, মৌলভী সামসুদ্দোহা, মো. জাকারিয়া, মো. জিন্নাহ ওরফে জিন্নাত আলী, মৌলভী জালাল ও আব্দুল আজিজ।

বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। আজ আদালতের শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত। অপরদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন আব্দুস সোবহান তরফদার ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে ট্রাইব্যুনালের পূর্ব আদেশ অনুসারে এ মামলার পলাতক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করেন প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত।

এসময় ট্রাইব্যুনাল ওই পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।

এর আগে এ মামলার মোট আসামি ২১ জনের মধ্যে দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে কারাগারে রয়েছেন পাঁচজন। অন্যদিকে একজন আসামি জামিনে আছেন। মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পার এখনো পলাতক ১৪ জন।

এর আগে ২০১৫ সালের ২২ মে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের মধ্যে কক্সবাজারের ছালামতউল্লাহ খান ও রশিদ মিয়াকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল। পরে মৌলভী নুরুল ইসলাম, জিন্নাত আলী এবং মৌলভী ওসমান গনিকেও গ্রেফতার করা হয়। তারা এখন কারাগারে।

তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মহেশখালী দ্বীপে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। আসামিরা একাত্তরে স্থানীয় শান্তি কমিটির সভাপতি মৌলভী জাকারিয়া ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি রশিদ মিয়ার সহযোগী ছিলেন বলেও জানা গেছে। আরো অভিযোগ রয়েছে, একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন মৌলভী নুরুল ইসলাম ও জিন্নাত আলী।
 
তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে মোট ঘটনা ১৩টি। এর মধ্যে হত্যার ৯৪টি, নারী নির্যাতন অসংখ্য এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগও রয়েছে। মামলায় মোট ১২৬ জন সাক্ষী।

এফএইচ/এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।