আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যায় হাইকোর্টে আপিলের রায় বুধবার


প্রকাশিত: ১২:১৭ পিএম, ১৪ জুন ২০১৬

শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় আসামি পক্ষে হাইকোর্টে করা আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বুধবার।

বিচারিক (নিম্ন) আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষের করা হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল শুনানি শেষে গত ৮ জুন রায় ঘোষণার তারিখ ১৫ জুন নির্ধারণ করেন আদালত।

আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বুধবার একই আদালতে রায় ঘোষণা করা হবে।

উচ্চ আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু ও আইনজীবী কাজী মো. সাজাওয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বসির আহমেদ ও রোনা নাহরীন।

অপরদিকে আসামিপক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক বিচারপতি টিএইচখান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী ও মাসুদ রানা শুনানি করেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ২১ জানুয়ারি এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রায় এক মাসের বেশি সময়ে তা শেষ হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রোনা নাহরিন।

২০০৫ সালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের করা ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলার শুনানি শুরু করেন আদালত। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই মামলা শুনানির প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী মো. সাজাওয়ার হোসেন বলেন, জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ থেকে মামলার পেপার বুক (নথিপত্র) পাঠ শুরু হয়। তার পরে মামলায় আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। প্রায় এক মাস শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য রাখা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে সন্ত্রাসীরা গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এমএ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসানউল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে।
 
এ ঘটনায় করা মামলায় ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দু’জন মারা গেছেন, ১৭ জন কারাগারে, বাকি নয়জন পলাতক। পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল আসে।

মরহুম আহসানউল্লাহ উল্লাহ মাস্টার ১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর গাজীপুরের পূবাইল ইউনিয়নের হায়দরাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুই বার পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে গাজীপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এছাড়া তিনি শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার শ্রমিক নেতা হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ, প্রতিটি নির্বাচনেই জয়ী হয়েছেন বিপুল ভোটে।

এফএইচ/এমএমজেড/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।