ছোট সাজ্জাদের স্ত্রীকে ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪২ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী তামান্না শারমিন

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় জোড়া ‍খুনের মামলায় ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিনসহ তিনজনকে সাত দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে রোববার (১৩ এপ্রিল) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, দুইজনকে গুলি করে হত্যার মামলায় আসামি তামান্নাসহ তিনজনেক চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আজ শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে তিনজনকে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ৩০ মার্চ চট্টগ্রামের বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেটকার ধাওয়া দিয়ে গুলি করে ঝাঁঝরা করা হয়। এতে দুই আরোহী নিহত হন। সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন ও সাজ্জাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের একজন বখতিয়ার হোসেনের মা ফিরোজা বেগম বাকলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদ, তার স্ত্রী তামান্না শারমিনসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন- মো. হাছান, মোবারক হোসেন, মো. খোরশেদ, মো. রায়হান ও মো. বোরহান। তারা সাজ্জাদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ মো. বেলাল, মো. মানিক ও সজীব নামের তিনজনকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সাতটি মোটরসাইকেলে ১৩ জন হামলায় অংশ নেন। তাদের হাতে ১০টি পিস্তল ও শটগান ছিল।

মামলার পর তামান্না, মোবারক ও বোরহান হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। গত ৯ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন।

হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ঘটনায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানার ১৫ মামলার আসামি ছোট সাজ্জাদ। ১৫ মার্চ রাত দশটার দিকে ঢাকার এক শপিংসেন্টার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

পরদিন (১৬ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তামান্নার এক ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে তামান্নাকে বলতে দেখা যায়, ‘আমার জামাই গতকাল রাতে অ্যারেস্ট হইছে। এটা নিয়ে এত হাই হুল্লাস (হা-হুতাশ) করার কিছু নাই। মামলা যখন আছে, অ্যারেস্ট হবে। এগুলো নিয়ে এতো টেনশন করা, দুঃখ প্রকাশ করা, কান্নাকাটি করার কিছুই নাই। আপনারা যারা ভাবতেছেন আমার জামাই অ্যারেস্ট হইছে, আর কোনোদিন বের হতে পারবে না, ওদের জন্য এক বালটি (বালতি) সমবেদনা। আমরা কাড়ি কাড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসবো। আমার জামাই বীরের বেশে চলে আসবে।’

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

সাজ্জাদের স্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন যারা এই ঘটনা ঘটাইছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না; মাথায় রাইখো। এতদিন আমরা পলাতক ছিলাম, এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা। আমার জামাই আইনি প্রক্রিয়া শেষে আমার কাছে আসবে। তখন খেলা শুরু হবে। খেলা মাত্র শুরু করছো তোমরা, শেষ করবো আমরা। আমার জামাই সাজ্জাদের যারা সাপোর্টার আছো সবাই দোয়া করবা, যাতে ১০-১২ দিনের মধ্যে জামিন করাই ফেলতে পারি। ঠিক আছে, ধন্যবাদ।’

এফএইচ/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।