ট্রাইব্যুনালে হাজির সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ ৬ জন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, ২৪ মার্চ ২০২৫

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকসহ ৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টার আগে প্রিজন ভ্যানে করে অভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা, চঞ্চল চন্দন সরকার (সাবেক এএসআই), রাজন কুমার সাহা (সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার), এস এম মাইনুল ইসলাম (সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার)।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৪ মার্চ) নির্ধারিত দিনে পৃথক তিনটি মামলায় ছয় আসামিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার এবং গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এর মধ্যে রাজধানীর কল্যাণপুরে জাহাজ বিল্ডিং নামের একটি বাসায় ২০১৬ সালে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের নামে নাটক সাজিয়ে নয়জন ইসলামি মনোভাবাপন্ন যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, ডিএমপির সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এবং ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লাকে হাজির করার নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সোমবার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। একই সঙ্গে আগামী ৭ মে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে ৬ মার্চ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে ২৪ মার্চ তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী ৭ মে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালের প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দুইটি উপাদান লাগে। একটি হল- সিস্টেমেটিকালি এই ঘটনা ঘটতে হয়। আরেকটি হল ওয়াইডস্প্রেডলি। এই দুই উপদান ঘটনাটিকে কাভার করে। কারণ একটি সিস্টেম ক্রাইম। এটি হলো ধর্মীয় কারণে এই যুবক ব্যক্তিদের ওপর নিপীড়ন চালানো হয় এবং তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। তাদের অপরাধ ছিল তারা সরকারবিরোধী মনোভাবাপন্ন ছিলেন। তারা ইসলামিক আইডিওলজি অনুসরণ করতেন। এজন্য তাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করে এনে একটি জায়গায় আটক রেখে সবাইকে জানানো হতো তারা জঙ্গি। আসলে তারা কেউই জঙ্গি ছিল না।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে সালের ২৬ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন ৫ নম্বর সড়কের জাহাজ বিল্ডিং নামের একটি বাসায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের অভিযানে নয়জন ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে বলা হয়।

ওইদিন অভিযান শেষে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক বলেছিলেন, নিহত ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।

বিজ্ঞাপন

এফএইচ/এএমএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।