ইনু বললেন, ‘কি আপনারা ভালো?’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:০৮ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ ১৬ আসামিকে হাজির করার জন্য আজ বুধবার দিন ঠিক করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকেই একে একে তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে নীরবেই আদালতের দিকে যান আসামিরা। সবাই চুপ থাকলেও কথা বলার চেষ্টা করেন সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এসময় পুলিশের এক সদস্য তাকে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে বললে হেঁটে আদালতে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, কথা বললে কী হবে?

বিজ্ঞাপন

এসময় সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, কি আপনারা ভালো? এরপর বাকিদের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করেন তিনি।

আসামিদের মধ্যে প্রিজন ভ্যান থেকে নামতেই হাত তুলে সালাম দেন সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান। এরপর হাঁটতে হাঁটতে উপস্থিত গণমাধ্যমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলতে বলতে আদালতে প্রবেশ করেন। তবে এসময় মাথা নিচু করে আদালতে প্রবেশ করেন সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। বাকি আসামিরা কারো সাথে কোনো কথা বলেননি বা কারো দিকে তাদের চোখ ফিরিয়ে তাকাতে দেখা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার অভিযোগে তাদের আদালতে হাজির করা হয় আজ। এসব আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী ও সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও জুনায়েদ আহমেদ পলক, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম।

এর আগে, গত ১৮ নভেম্বর ১৬ জনের মধ্যে ৯ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে ওইদিন ১৩ জনকে কারাগারে পাঠান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেদিন চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালের কাছে আসামিদের বিরুদ্ধে সব প্রমাণ জমা দেওয়ার জন্য দুই মাসের সময় চাইলে আদালত এক মাস সময় দেন। সে অনুযায়ী আসামিদের বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।

ইএআর/এএমএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।