নিম্ন আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা চলতে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫০ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৭
ফাইল ছবি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীর জেরা পুনরায় করার অনুমতি চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা আবেদন নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ।

সোমবার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি (নো অর্ডার)।

আদালতে সোমবার শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খোরশীদ আলম খান, খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার বদরোদ্দোজা বাদল, রাগীব রউফ চৌধুরী।

পরে দুদকের আইনজীবী খোরশীদ আলম খান জানিছেন, হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ। ফলে নিম্ন আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই।

খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী বদরুদ্দোজা বাদল জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর আমরা নিয়মিত আপিল আবেদন করব।

গত ২২ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের নয় সাক্ষীকে জেরা ও ২ সাক্ষীকে পুনরায় জেরা সংক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়ার করা আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ আেদশ দেন। আদেশে দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরার প্রয়োজন নেই বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বেগম খালেদা জিয়া। সঙ্গে সঙ্গে, হাইকোর্টের আদেশের সার্টিফাইড কপি আইনজীবীদের হাতে না পাওয়া পযন্ত মামলার কাযক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। আজ এ বিষয়ে কোন আদেশ দেননি (নো অর্ডার) করেন আপিল বিভাগ।

দুদকের আইনজীবী জানায়, এর আগে ১১ সাক্ষীর বিষয়ে গত ২৭ জুলাই বিচারিক আদালত খালেদা জিয়ার আবেদন নাকচ করে দেয়। পরে ২ সাক্ষীর পুনরায় জেরা এবং নয় সাক্ষীর মূল জেরা চেয়ে হাইকোর্ট আবেদন করা হয়।

গত ২২ অক্টোবর হাইকোর্ট দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরার প্রয়োজন নেই বলে আদেশ দেয়। তবে নয়জনের বিষয়ে এ মামলার অপর আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ক্ষেত্রে যে জেরা করা হয়েছে তা খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে (অ্যাডপ্ট) বলেছে আদালত।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়। এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলার বিচার এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এফএইচ/এনএফ/একে/জেআইএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।