বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপরে সুরমার পানি


প্রকাশিত: ০৭:২২ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৪

টানা বর্ষণ ও সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার ছোট-বড় সব নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তলিয়ে যাচ্ছে আমন ফসল ও সবজিক্ষেত।

জেলার দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও ছাতক উপজেলার দুই লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দিন দিন বেড়েই চলেছে দুর্ভোগ। বন্যাকবলিত এ সব এলাকার মানুষ ত্রাণও পাচ্ছেন না। খোলা হচ্ছে না কোনো আশ্রয়কেন্দ্র। ফলে দুর্বীসহ হয়ে পড়েছে বন্যার্তদের জীবনযাত্রা।

জামালগঞ্জ উপজেলার পানিবন্দী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের উজ্জ্বলপুর এলাকায় সড়ক ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই বাইপাস সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এ সড়কটি ভেঙে গেলে ভীমখালী, ফেনারবাক ও সদর ইউনিয়নের আমন ফসলসহ ব্যাপক ক্ষতি হবে।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে। দর্গাপাশা, পশ্চিম বীরগাঁওসহ কয়েকটি ইউনিয়নের ৩৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল কাদির সিহাব জানান, সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোর বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। দুর্ভোগে আছেন উপজেলার প্রায় ৩৫টি গ্রামের মানুষ। যত দ্রুত সম্ভব বন্যাকবলিত এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা প্রয়োজন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।