বিআইডিএস গবেষণা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ শতাংশ গ্র্যাজুয়েট বেকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩৮ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ফাইল ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে, যারা চাকরি করেন, তাদের অধিকাংশই কম আয়ের চাকরিতে নিয়োজিত। নারী ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত বার্ষিক উন্নয়ন সম্মেলনের তৃতীয় দিনে এ বেকারত্ব নিয়ে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন বিআইডিএস’র গবেষণা পরিচালক এসএম জুলফিকার আলী।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারী কলেজগুলো মধ্যে ৬০৮টি কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন, এর মধ্যে বিআইডিএস ৬১টি কলেজ বেছে নিয়েছে। এ গবেষণায় এক হাজার ৩৪০ জন পাস করা শিক্ষার্থী, ৬৭০ জন অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, ৬১ জন কলেজ অধ্যক্ষ এবং ১০০ জন চাকরিদাতা অংশ নেন।

গবেষণায় দেখা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্নাতক সম্পন্ন হয় ব্যবসায় শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান ও মানবিক বিষয়ের ওপর, যেখানে বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়ে পাস করা শিক্ষার্থীদের হার অনেক কম (স্নাতকে ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ, স্নাতকোত্তরে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ)। পাশাপাশি, প্রায় ৪২ দশমিক ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থী বেতনভোগী চাকরিতে এবং ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী নিজে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন।

বেকারদের মধ্যে নারী ও গ্রামের শিক্ষার্থীদের হারও বেশি। সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা থেকে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার তুলনামূলক বেশি, তবে কারিগরি ও দাখিল শিক্ষায় এ হার কম।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৩৬ শতাংশ শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত এবং অনেকেই অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসারের পদে চাকরি করছেন। সরকারি চাকরি করার ইচ্ছা ৪৩ দশমিক ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর, যেখানে অধিকাংশের লক্ষ্য সরকারি চাকরিতে যোগদান করা।

এ গবেষণায় ওঠে এসেছে কলেজগুলোর নানা সমস্যা, যার মধ্যে রয়েছে কলেজগুলোর মান কম, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও ইনসেনটিভের অভাব ও চাকরির বাজারমুখী শিক্ষার অভাব।

এমওএস/এমএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।