টেলিভিশনের জন্য অনেক লোকবল প্রয়োজন: এস এম ইমরান হোসেন

আনিসুল ইসলাম নাঈম
আনিসুল ইসলাম নাঈম আনিসুল ইসলাম নাঈম , ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

দেশের সম্প্রচার সাংবাদিকতা এবং সিনেমা বিষয়ক অধ্যয়নে নতুন এক মাত্রা যুক্ত করতে টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগটির যাত্রা শুরু হয়। ২০১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগটি প্রথম চালু হয়। এক সময় টেলিভিশন সাংবাদিকতায় দক্ষ জনবল এবং সিনেমা নিয়ে তেমন পড়াশোনার সুযোগ ছিল না। সেই সীমাবদ্ধতা মোকাবিলার উদ্দেশ্যে বিভাগটির কার্যক্রম চালু হয়। এ বিভাগের পড়াশোনা, উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার নানা বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক এস এম ইমরান হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম—

জাগো নিউজ: টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা কী?
এস এম ইমরান হোসেন: ঢাবিতে কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে। টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে এসএসসি এবং এইচএসসি উভয় মিলে জিপিএ ৮.০০ এবং সব বিষয়ে জিপিএ ৩.৫০ ওপর থাকতে হবে। এ ছাড়া ২ বছর মেয়াদী এমএসএস কোর্সে ভর্তির সুযোগ আছে। এ ক্ষেত্রে সিজিপিএ সর্বনিম্ন ৩.০০ থাকলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে। মাস্টার্সে রেগুলার শিক্ষার্থীর বাইরে সিট ফাকা থাকলে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হতে পারবে। তবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনার্স পড়ুয়া হতে হবে। এ বছর ঢাবিতে জামার্নি ও অস্ট্রেলিয়া থেকে দুজন শিক্ষার্থী মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছেন।

জাগো নিউজ: এই বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে?
এস এম ইমরান হোসেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি নামে বিভাগ আছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া নামে বিভাগ চালু আছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নামে বিভাগ আছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট আছে। এখানে ফিল্ম ও ফটোগ্রাফির ওপর ২-১ বছরের ডিপ্লোমা আছে। পাশাপাশি ফটোগ্রাফির ওপর অনার্স চালু আছে। বাংলাদেশ সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট এবং পিজিডিতে বিভিন্ন কোর্স করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেলিভিশন রিপোর্টিং, মিডিয়া স্টাডিজ, ফিল্ম স্টাডিজ, নিউজ প্রেজেন্টেশন, জার্নালিজম, টেলিভিশন জার্নালিজম—এরকম কোর্স নিয়ে অনার্স পড়ানো হয়। যেমন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মিডিয়া অ্যান্ড জার্নালিজম, ইউল্যাব ইউনিভার্সিটিতে মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম ইত্যাদি বিভাগ আছে।

জাগো নিউজ: বিভাগটিতে কী কী বিষয়ে পড়ানো হয়?
এস এম ইমরান হোসেন: বিভাগটিতে অনার্সে ৪ বছরে মোট ৮টি সেমিস্টার এবং ৩২টি কোর্স। মাস্টার্সে দুটি সেমিস্টার ও ৮টি কোর্স আছে। বিষয়ে পড়ার জন্য বাংলা এবং ইংরেজির দক্ষতার দিকে নজর দেওয়া হয়। শুরুতেই শিক্ষার্থীদের ভাষাগত দক্ষতায় উন্নতি করা হয়। অডিও ভিজ্যুয়ালের গ্রামার শেখানো হয়। মিডিয়া ও ফিল্ম স্টাডিজের বিভিন্ন থিউরি, ক্যামেরার কাজের জন্য সিনেমাটোগ্রাফি, সাউন্ডের জন্য সাউন্ড ডিজাইন শেখানো হয়। টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রোডাকশন নামে একটি কোর্স আছে। সেখানে টেলিভিশন প্রযোজনার নানা দিক শেখানো হয়। এ ছাড়া নিউজ এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের প্রোগ্রাম তৈরি করা, সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখা এবং ভিডিও এডিটিং শেখানো হয়। একটি সিনেমা বা টেলিভিশনে যে ধরনের কাজের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, শিক্ষার্থীদের তার তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক দিকগুলোতে দক্ষ করা হয়। এ ছাড়া ফটোগ্রাফি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি বিষয়। আমরাই প্রথম এটি শুরু করেছি। সপ্তম সেমিস্টারের পরে তারা আলাদা আলাদা ভাগে ভাগ হয়ে ফটোগ্রাফির ওপর বিভিন্ন কোর্স (ট্রাভেল ফটোগ্রাফি, ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি, ভিজ্যুয়াল কালচার ইত্যাদি) করতে পারেন। সপ্তম সেমিস্টারে গিয়ে টেলিভিশন, ফিল্ম এবং ফটোগ্রাফি—তিনটি আলাদা স্টির্মে ভাগ হয়ে যান তাদের পছন্দ অনুসারে।

জাগো নিউজ: প্রোগ্রামটিতে বইয়ের পাশাপাশি হাতেকলমে শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে বলবেন কি?
এস এম ইমরান হোসেন: কোর্সটিতে অর্ধেক থিওরিট্রিক্যালি এবং অর্ধেক প্র্যাকটিক্যালি পড়ানো হয়। টেলিভিশনে কাজ করতে হলে স্টুডিও প্রয়োজন। স্টুডিওর মধ্যে অবকাঠামো, লাইট, ক্যামেরা, অ্যানিমেশন ল্যাব দরকার। বিগত ১ যুগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের সহযোগিতায় পরিপূর্ণ একটি টেলিভিশন স্টুডিও তৈরি করতে পেরেছি। এখানে ছেলেমেয়েরা টেলিভিশনের সব রকমের কাজ শিখে থাকেন। ডিপার্টমেন্টে প্রোগ্রামগুলো শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে করেন। সেগুলো ডিপার্টমেন্টের ইউটিউব চ্যানেল ‘ডিইউ টিভি’তে সম্প্রচার করা হয়। আমাদের মিডিয়া ল্যাবে গ্রাফিক্স এবং অ্যানিমেশনের কাজগুলো শিখে থাকে। এ ছাড়া রির্সোস সেন্টারে অত্যাধুনিক লাইট, ক্যামেরা এবং অন্যান্য ইক্যুইপমেন্ট আছে। যদিও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের নানা মাধ্যম থেকে জিনিসগুলো সংগ্রহ করতে হয়। এখানে প্র্যাকটিক্যাল অংশে ফাইনাল সেমিস্টারে শিক্ষার্থীকে ১০-১২ মিনিটের সিনেমা তৈরি করতে হয়। এতে ক্যামেরা, শুটিংয়ের পাশাপাশি খরচের বিষয় আছে। আমরা কিছু ইক্যুইপমেন্ট সার্পোট দিই। তাদের টাকা-পয়সা দিতে পারি না। তাদের পর্যাপ্ত সাপোর্ট দেওয়া হলে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে। পাশাপাশি ভালো সিনেমা তৈরি করতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।

জাগো নিউজ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যাধুনিক গ্রাফিক্স এবং অ্যানিমেশন ল্যাবের কার্যক্রম সম্পর্কে বলবেন কি?
এস এম ইমরান হোসেন: বিভাগটিতে আইসিটি ডিভিশন থেকে অত্যাধুনিক অ্যানিমেশন ল্যাব তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের একটি সেমিস্টারে অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করতে হয়। যেমন- হাতেকলমে কাজ করা, মডেল তৈরি করা, মোশন গ্রাফিক্স তৈরি করা ইত্যাদি। এ ছাড়া যে কোনো শিক্ষার্থী নিজ ইচ্ছা থেকে অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করতে পারে। এটা একটা শুরু বলা যেতে পারে। অনেক শিক্ষার্থী তাদের গ্র্যাজুয়েট প্রডাকশন তৈরি করেছেন অ্যানিমেশনের ওপর। পাশাপাশি আমাদের দেশের অ্যানিমেটরদের অ্যানিমেশন বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। তবে ল্যাবটি তদারকির জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। কোনো কিছু নষ্ট হয়ে গেলে ঠিক করার ক্ষমতাও আমাদের নেই। যন্ত্রপাতিগুলো পাঁচ বছর বা তারপর নষ্ট হয়ে গেলে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। এগুলোর আপডেট করতে না পারলে সুফল পাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়বে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের সহযোগিতা চাই।

জাগো নিউজ: বাংলাদেশে টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগে পড়ুয়াদের প্রয়োজনীয়তা কেমন?
এস এম ইমরান হোসেন: দেশের টেলিভিশনগুলোতে প্রতিদিন অনেক প্রোগ্রাম ও নিউজ যায়। সে পরিমাণ দক্ষ জনবল কি আমাদের আছে? একসময় তো টেলিভিশনে পড়ার কোনো সাবজেক্ট ছিল না। তাহলে রিপোর্টিং, টেলিভিশন স্টুডিওতে কাজ করার বিষয়গুলো কীভাবে শিখবে? আগে লোকজন কাজ করতে করতে এসব শিখতো। কিন্তু এটি একই সাথে প্রায়োগিক ও থিওরিটিক্যাল পড়ার জায়গা। এখন পর্যন্ত ৮০ জন শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েট হয়ে বিভিন্ন টেলিভিশনে কাজ করছেন। তবে এত সংখ্যক টেলিভিশনের জন্য অনেক লোকবল প্রয়োজন। এরকম আরও পাঁচটি ডিপার্টমেন্ট থেকে শিক্ষার্থীরা গেলে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক ভালো করবে। বর্তমানে আমাদের টেলিভিশনের প্রোগ্রাম ও নিউজের মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। শিক্ষার্থীদের ভালো সুযোগ সুবিধা দেওয়া হলে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো করতে পারবে।

টেলিভিশনের জন্য অনেক লোকবল প্রয়োজন: এস এম ইমরান হোসেন

জাগো নিউজ: গ্র্যাজুয়েটদের পেশা সংশ্লিষ্ট কাজে অংশগ্রহণ কেমন?
এস এম ইমরান হোসেন: ঢাবিতে এক যুগে অনার্স এবং মাস্টার্সের পাঁচটি ব্যাচ বের হয়েছে। পাশাপাশি মাস্টার্সের আটটি ব্যাচ। এখান থেকে বের হয়ে একটি অংশ বিভিন্ন টেলিভিশন স্টেশনে যোগদান করেছেন। কিছু শিক্ষার্থী স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। কেউ কেউ পাবলিক ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন। কেউ কেউ গণমাধ্যমে কাজ করছেন। আরেকটা অংশ শর্টফিল্ম ও সিনেমা তৈরিতে অংশগ্রহণ করছেন। সোসাইটিতে অল্প হলেও তারা অবদান রাখতে শুরু করেছেন। তবে একটা বিষয় হচ্ছে, সিনেমা নির্মাণে প্রচুর অর্থ ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দরকার। এজন্য খুব কম সংখ্যক ছেলেমেয়েরা সিনেমা নির্মাণের রাস্তায় যায়। তারপরও বড় একটা অংশ এই সেক্টরে রয়েছে। যদিও একটা সময় গেলে বিষয়টা দৃশ্যমান হবে।

জাগো নিউজ: এই বিষয়ে পড়ে চাকরি বা কাজের সুযোগ কোথায় কোথায় রয়েছে?
এস এম ইমরান হোসেন: প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ আছে। প্রায় ৪০% শিক্ষার্থী টেলিভিশনে কাজ করছে। অনেকেই ফিল্ম মেকিংয়ের সাথে যুক্ত আছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভিডিও এডিটর, ফটোগ্রাফার ও ক্যামেরপারসন হিসেবে কাজের সুযোগ আছে। তারা অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবে। তা ছাড়া পাবলিক রিলেশন অফিসার, কমিউনিকেশন অফিসার হয়ে কাজ করবে। বর্তমানে মিডিয়া হাউজগুলোতে ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার হিসেবে টিম করা হচ্ছে। টিমগুলো শিক্ষার্থীদের হাত ধরে শুরু হয়েছে এবং তারা কাজ করছে। ফিল্ম নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী কাজ করছেন। কেউ কেউ বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল এনজিওতে ডকুমেন্টারি ফিল্ম মেকার হিসেবে কাজ করছেন। গ্র্যাজুয়েটরা চলচ্চিত্র বা বিজ্ঞাপন নির্মাণকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারবে। আবার অনেকে ফটোগ্রাফার হিসেবে সরকারি চাকরি করছেন। তিনটি আলাদা স্টির্মে ভাগ হয়ে যান।

জাগো নিউজ: এতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা কেমন?
এস এম ইমরান হোসেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সুযোগ নেই। তবে বিভাগটি থেকে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী বাইরে পড়াশোনা করছে। তাদের একটা বড় অংশ ইউরোপ ও আমেরিকায় আছেন। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। প্রতি মাসেই ২-১ জন করে স্কলারশিপে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যাচ্ছে। ইউরোপিয়ান স্কলারশিপ, ইরাসমাস মুন্ডাস ও ডাড স্কলারশিপ রয়েছে। ইন্টারন্যাশনালি চিন্তা করলে আমাদের ইক্যুইপমেন্টের অনেক ঘাটতি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে শেখার আগ্রহ থেকে শিক্ষার্থীরা বিদেশে মাস্টার্স প্রোগ্রামে পড়াশোনায় যাচ্ছে। পাশাপাশি সে দেশের ফিল্ম, মিডিয়া স্টাডিজ সেক্টরে ভূমিকা রাখছে।

জাগো নিউজ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সফলতা বা অর্জন কেমন?
এস এম ইমরান হোসেন: বিভাগটির শিক্ষার্থীদের সিনেমা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে। শিল্পকলা একাডেমিতে সিনেমা তৈরির প্রতিযোগিতায় ছেলেমেয়েরা দুইবার সেরা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এ ছাড়া দেশে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা মেধার স্বাক্ষর রাখছেন। সম্প্রতি ডিইউসি’র প্রতিযোগিতায় ১৭০০ সিনেমা জমা পড়েছে। সেখানকার সেরা ১০টি সিনেমার মধ্যে আমাদের ২টি সিনেমা রয়েছে। বরাবরের মতো বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় আমাদের শিক্ষার্থীরা একটা ভালো অবস্থানে থাকে।

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।