যেভাবে ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ পেলেন জনী

আনিসুল ইসলাম নাঈম
আনিসুল ইসলাম নাঈম আনিসুল ইসলাম নাঈম , ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ০১:৩৪ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২৪

জাহিদ হাসান জনী ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। সম্প্রতি ইউরোপের মর্যাদাপূর্ণ ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপে ‘কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডাটা সায়েন্স’ প্রোগ্রামে ফিনল্যান্ডের আল্টো ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স পর্ব শুরু করবেন তিনি। তার স্কলারশিপ পাওয়ার আদ্যোপান্ত নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন জাগো নিউজকে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম—

জাগো নিউজ: আপনার শৈশব ও বেড়ে ওঠা সম্পর্কে বলুন—
জাহিদ হাসান জনী: আমার জন্ম ঢাকার ধামরাই উপজেলায় মনোহরপুর গ্রামে। শৈশব ও কৈশোরকাল এখানেই কেটেছে। বড় ফ্যামিলিতে জন্মগ্রহণ করার সুবাদে আদরের কমতি ছিল না। পরিবারের ছোট সন্তান হওয়ায় সব মিলিয়ে প্রচুর আদরে বড় হয়েছি। চার ভাই এবং দুই বোনের মাঝে সবার ছোট ছিলাম আমি।

জাগো নিউজ: আপনার পড়াশোনা সম্পর্কে জানতে চাই—
জাহিদ হাসান জনী: বড় ভাই কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনা করতো। তাই অনেক ছোট থাকতেই কম্পিউটার চালানোর সুযোগ পাই। তখন মনে মনে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সাধ জাগতো। ২০১৪ সালে এসএসসি পাসের পর কম্পিউটার টেকনোলজি বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হই। নতুন শহর, নতুন পরিবেশ, নতুন বন্ধুবান্ধব—সব মিলিয়ে চারটা বছর যে কীভাবে কেটে যায়, টেরই পাইনি। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের ঝোঁক থেকে কলেজে ‘মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক আইসিটি’ ক্লাব গড়ে তুলি। এখান থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর ডুয়েট অ্যাডমিশনের জন্য গাজিপুরে কোচিংয়ে ভর্তি হই। প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে চান্স হয়নি। হার না মেনে দ্বিতীয়বার চেষ্টা করলাম। দিনে ১২-১৪ ঘণ্টা করে পড়তাম। এবার শুধু ডুয়েটে না, পরীক্ষা দিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। কোনোটাতেই চান্স হলো না। হতাশ হয়ে গেলাম।

এরপর ভর্তি হলাম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। ১ম সেমিস্টারেই রেজাল্ট করলাম সিজিপিএ ৩.৯৪ (৪.০০)। এরপর সিজিপিএ ৪.০০ আউট অব ৪.০০ পাওয়া শুরু করলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি স্কিলের দিকে মনোযোগ দিলাম। সেকেন্ড ইয়ারে ন্যাশনাল হ্যাকাথন ‘সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন’র ‘ভাংতি নাই ভাংতি চাই’ নামক মেশিন লার্নিং এবং অটোমেশন প্রজেক্টের আইডিয়া দিয়ে চমকে দিলাম বিচারকদের! আমার টিম এ প্রজেক্টে সেকেন্ড রানারআপ হয়। এটাই আমার প্রথম ন্যাশনাল কোনো কম্পিটিশনে অ্যাচিভমেন্ট। এরপর ইন্টারন্যাশনাল হ্যাকাথনে ‘ASEF (Asian European Foundation) SUMMER 2021’-এ ভার্চুয়ালি পাকিস্তানি টিমে অংশগ্রহণ করি। এখানেও ভালো করি। ফাইনাল ইয়ারে এসে রিসার্চ শুরু করলাম। ফাইনাল ইয়ারে থিসিস দিলাম ব্রেইন টিউমার ক্লাসিফিকেশনের ওপর। এটি আমার প্রথম ইমেজ প্রসেসিং এবং মেডিকেল ইমেজিংয়ের ওপর গবেষণা। এ পত্রটি একটি স্বনামধন্য কনফারেন্সে প্রকাশ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এত কিছু করলেও আমার নিজের লক্ষ্য থেকে কিন্তু একটুও সরে যাইনি। পড়াশোনাকে সব সময় আগে প্রায়োরিটি দিয়েছি। এরই ফল হিসেবে সিজিপিএ ৩.৯৭ আউট অব ৪.০০ নিয়ে গ্র্যাজুয়েট হই। আর ইরাসমাস মুন্ডুস স্কলারশিপে মাস্টার্স প্রথম ইয়ারে ফিনল্যান্ডে পড়বো আল্টো ইউনিভার্সিটিতে।

জাগো নিউজ: কী ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিলেন?
জাহিদ হাসান জনী: কলেজ লাইফ থাকতেই এক্সট্রোভার্টেড হওয়ার সুবাদে ক্লাব অ্যাক্টিভিটি এবং ভলান্টিয়ারি করতাম প্রচুর। করেছি রোভার স্কাউটিং এবং প্রচুর ক্যাম্পিং। স্কাউটিং করার সুবাদে মুন্সিগঞ্জ ছাড়াও কয়েকটি জেলা ঘোরার সুযোগ হয়েছে। তারই ফল হিসেবে রোভার মেট হিসেবে নিযুক্ত হই কলেজের রোভার স্কাউট গ্রুপের একটি ইউনিটের। বইপড়ার সুবাদে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাই। ভার্সিটির প্রথম সেমিস্টারেই কাজ করার সুযোগ পাই ভলান্টিয়ার হিসেবে। জয়েন করলাম বিডিঅ্যাপ্সের (ন্যাশনাল অ্যাপস্টোর অব বাংলাদেশ) ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে। এক বছর পর পেলাম সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডরের খেতাব! ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে বড় ক্লাব ‘ডিআইইউ কম্পিটার অ্যান্ড প্রোগ্রামিং ক্লাব’র এক্সিকিউটিভ মেম্বার হই। নিজের স্কিল এবং লিডারশিপ দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে দায়িত্ব পেলাম ভাইস প্রেসিডেন্ট (রিসার্চ অ্যান্ড জার্নাল) উইংয়ে। এরমধ্যে গ্লোবাল অর্গানাইজেশন ‘আইইইই ডিআইইউ স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ’র চেয়ারপারসন হিসেবে নিযুক্ত হই। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কাজ শুরু করলাম ‘আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার টিম স্পার্ক’র একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কোঅর্ডিনেটর হিসেবে। তখন ‘আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার’ থেকে বড় সম্মাননা ‘বেস্ট সিএস স্টুডেন্ট ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ পাই। গ্র্যাজুয়েশন শেষে নিযুক্ত হই ‘আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার’র সোশ্যাল মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর হিসেবে। কিছুদিন পর যুক্ত হই ‘আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার জিএসম ফোরাম’র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে। বর্তমানে এ দুটি অর্গানাইজেশনের সাথে কাজ করে যাচ্ছি।

জাগো নিউজ: ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপে পড়ার ভাবনা মাথায় এলো কীভাবে?
জাহিদ হাসান জনী: ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপের বিষয়টি ভার্সিটিতে থাকাকালীন শুনেছি। থার্ড ইয়ারে থাকাকালীন ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাই ইরাসমুস মুন্ডুস পান। ভাইকে অভিনন্দন জানিয়েই ক্ষ্যান্ত হলাম না। চলে গেলাম সরাসরি দেখা করতে। প্রায় ২ ঘণ্টার মতো সময় দিলেন নীলক্ষেতের একটি কফির দোকানে। আমার স্পষ্ট মনে আছে তার প্রতিটি কথা। তার থেকে মোটামুটি গাইডলাইন নিয়ে পুরাদমে প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করলাম। তখনো আইইএলটিএস দিইনি, তবে মাথায় ইরাসমুস মুন্ডুসের ভূত চেপে গেলো। যেভাবেই হোক আমাকে স্কলারশিপ পেতে হবে।

জাগো নিউজ: ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপে পড়ার সুযোগ পাওয়ার গল্প শুনতে চাই—
জাহিদ হাসান জনী: নভেম্বর থেকে মার্চ মাসে বেশ কয়েকটা ইরাসমুস মুন্ডুস প্রোগ্রামে আবেদন করি। প্রথম প্রোগ্রামের রিজেকশন মেইল চলে এলো। আবার টানা ৩টা প্রোগ্রামে সেকেন্ড ফেজের কল পেলাম! এরমধ্যে একটি প্রোগ্রামে এক্সাম দিলাম। আবার আরেকটা প্রোগ্রামের ইন্টারভিউয়ের ডেট দিলো। ফ্রান্সের এক প্রফেসরের সাথে মিটিং স্কেজুল ঠিক হলো। ইন্টারভিউ শুরুর ৯ মিনিট পূর্বে আগের প্রোগ্রামের রিজেকশন মেইল আসে। তখন মনে হতাশা চলে আসে। মন খারাপ নিয়ে ৫ মিনিট পর আবার ইন্টারভিউতে বসলাম। টানা ৪০ মিনিটের ইন্টারভিউ হলো। তবে বাজে পরিস্থিতি নিয়েও ভালো হয়েছিল ইন্টারভিউ। আশাবাদি ছিলাম এই প্রোগ্রাম নিয়েও। এরমধ্যে CODAS Program সেকেন্ড ফেজের মোটিভেশন ভিডিও সাবমিশন করলাম। রেজাল্টের দিন ইফতার করতে বসেছি, তখন অন্য একটা প্রোগ্রামের রিজার্ভ লিস্টে রাখার মেইল আসে। মন খারাপে ইফতারটাও ভালোমতো করতে পারলাম না। কয়েকদিন পর একটা প্রোগ্রামে সেকেন্ড ফেজে কল পেলাম। এখানে ১০ মিনিটের ইন্টারভিউ মোটামুটি ভালো হলো। ঈদের আগের দিন ইরাসমুস মুন্ডুস CODAS-এর সিলেকশন ই-মেইল এলো। আমাকে ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ অফার করা হয়েছে! আমার প্রথম ইয়ার হবে ফিনল্যান্ড এবং সেকেন্ড ইয়ার জার্মানিতে।

জাগো নিউজ: স্কলারশিপ পেতে কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছে?
জাহিদ হাসান জনী: তখনো আইইএলটিএস দিইনি, অথচ আমার গ্র্যাজুয়েশন শেষ! বেকার একটা ছেলে ঘুরে বেরাচ্ছে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেও। ফ্যামিলি থেকে সাপোর্ট নিয়ে শুরু করলাম আইইএলটিএসের প্রিপারেশন। টানা ৪ মাস প্রিপারেশন নিয়ে পরীক্ষা দিলাম। এদিকে ইরাসমুসের অ্যাপ্লিকেশন স্টার্ট হতে ৪ মাস বাকি। সেসময় হঠাৎ এক বন্ধুর কল পাই এবং তার প্রতিষ্ঠানে পার্ট টাইম ইন্সট্রাকটর হিসেবে যোগদান করি। ক্লাস অল্প পাওয়ায় সম্মানি দিয়ে মাস চলতো না। তাই টিউশনি করানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। সেই মোতাবেক পোস্টার লাগাই। একটি টিউশনিও পেলাম না! সেই সময় আমার ডকুমেন্ট গোছানো, কাভার লেটার বা মোটিভেশন লেটার লেখা; এসব সেরে ফেলি।

জাগো নিউজ: ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপে কীভাবে আবেদন করতে হয়?
জাহিদ হাসান জনী: ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপে আবেদনের পদ্ধতি অন্য স্কলারশিপের অ্যাপ্লিকেশন করার চেয়ে সহজ! ইরাসমুস মুন্ডুসের সব প্রোগ্রাম ‘ইরাসমুস মুন্ডুস ক্যাটালগে’ পাওয়া যাবে। সেখানে এখন পর্যন্ত ২শ’র ওপর প্রোগ্রাম আছে। সব বিভাগের ছাত্ররা তাদের পছন্দমতো প্রোগ্রামটি বাছাই করার মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। ক্যাটালগে বিভিন্ন উপায়ে প্রোগ্রাম ফিল্টার করা যায়, যেমন-ডিপার্টমেন্ট, সাবজেক্ট, দেশ, সাল, ক্রেডিট কিংবা সরাসরি কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করার মাধ্যমে। যে কেউ এই ফিল্টার অ্যাপ্লাই করে প্রোগ্রাম বাছাই করতে পারেন। শুধু ইনফরমেশন প্রোভাইড করে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করে অ্যাপ্লাই করে ফেলতে পারবেন কোনো অ্যাপ্লিকেশন ফি ছাড়া।

জাগো নিউজ: প্রয়োজনীয় কী কী কাগজপত্র লাগবে?
জাহিদ হাসান জনী: ইরাসমুস মুন্ডুস মূলত দেওয়া হয় মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য। এজন্য কিছু কাগজপত্র লাগবে। যেমন- ব্যাচেলর সার্টিফিকেট, অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, মোটিভেশন লেটার বা কাভার লেটার বা স্টেটমেন্ট অব পারপাস, রিকোমেন্ডেশন লেটার ৩টি, ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি সার্টিফিকেট (আইইএলটিএস/টোফেল), ইউরোপাস কারিকুলাম ভিটা, পাসপোর্ট, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট এবং রিসেন্ট ফরমাল ছবি। এ ছাড়া অতিরিক্ত কিছু ডকুমেন্ট যেমন- ইসিটিএস কনভার্সন এক্সেল শিট, ব্যাচেলর কোর্স আউটলাইন, ১ বা ২ মিনিট মোটিভেশন ভিডিও, প্রুফ অব রিসার্চ ওয়ার্ক (বাধ্যতামূলক নয়), প্রুফ অব ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স (বাধ্যতামূলক নয়), অন্য কাগজপত্র (এক্সট্রাকারিকুলাম বা কোনো অর্জনের সার্টিফিকেট দেওয়া যায়) ইত্যাদি লাগবে।

জাগো নিউজ: ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপে কী কী সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে?
জাহিদ হাসান জনী: ইরাসমুস মুন্ডুস হচ্ছে ইউরোপের সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস এমনকি বিশ্বের মধ্যে নামকরা স্কলারশিপ। এতে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। যেমন- এটি ইউরোপের সর্বোচ্চ ফান্ডেড স্কলারশিপ। স্কলারশিপে ফুল টিউশন ফি এবং হেলথ ইন্সুরেন্স কাভার করবে। মাসিক অ্যালাউয়েন্স হিসেবে ১০০০ বা ১৪০০ ইউরো দেওয়া হবে। ট্রান্সপোর্ট কস্ট হিসেবে বছরে ৩০০০ ইউরো এবং ইনস্টলেশন কস্ট ১০০০ ইউরো দেওয়া হবে। ইউরোপের একাধিক দেশে পড়াশোনার সুযোগ আছে। জয়েন্টলি মাস্টার্স এবং ডাবল মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ। এ ছাড়া একাডেমিক যাবতীয় খরচ বহন করবে। পাশাপাশি চাইলে নিজের ইউনিভার্সিটিতেও রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট বা প্রজেক্টে অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ফ্যাকাল্টির সাথে পার্ট টাইম কাজ করতে পারবেন।

জাগো নিউজ: নতুন যারা ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপে পড়তে চান, তাদের জন্যে পরামর্শ কী?
জাহিদ হাসান জনী: একাডেমিক পড়াশোনা সবার আগে। ভালো সিজিপিএ স্কলারশিপ মার্কিং ক্রাইটেরিয়াতে বিশাল রোল প্লে করে। তাই সিজিপিএ গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে বসে থাকবেন না। এখন থেকেই চেষ্টা করবেন পরের সেমিস্টারে যেন আরেকটু ভালো করা যায়। যাদের গ্র্যাজুয়েশন শেষ তারা রিসার্চ দক্ষতা, জব এক্সপেরিয়েন্সের পাশাপাশি প্রজেক্টে কাজের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। আমার মতে, ভালো প্রোফাইল এবং মোটিভেশান লেটার ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মোটিভেশন লেটারটি স্কলারশিপ কমিটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাদের কনভিন্স করার সুন্দর মাধ্যম কিন্তু নিজের হাতেই! সবশেষে সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।