বিসিএস হলো ধৈর্যের পরীক্ষা: শাহাব উদ্দিন

আনিসুল ইসলাম নাঈম
আনিসুল ইসলাম নাঈম আনিসুল ইসলাম নাঈম , ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪

মো. শাহাব উদ্দিন ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে (বাংলা) সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার শৈশব ও বেড়ে ওঠা কক্সবাজারের মহেশখালীতে। তিনি বিজ্ঞান বিভাগে মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি এবং কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-২.৯০ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এরপর কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন।

সম্প্রতি জাগো নিউজের সঙ্গে তিনি ৪৩তম বিসিএস জয়, ক্যারিয়ার পরামর্শ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম—

জাগো নিউজ: ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডার পেয়েছেন, অনুভূতি কেমন?
মো. শাহাব উদ্দিন: ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়! আশা ছিল ক্যাডার পাবো। ছোটবেলা থেকে আমার লক্ষ্য ছিল বিসিএস ক্যাডার হবো। রেজাল্ট পাওয়ার পর প্রথমে আমি মা-বাবাকে জানাই। আমার বাবা শুনে আবেগ প্রবণ হয়ে ওঠেন। হাজার শুকরিয়া। স্রষ্টা আমার স্বপ্ন পূরণ করেছেন।

আরও পড়ুন: বিসিএসের জন্য ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করতে হবে: জাহিদ হাসান 

জাগো নিউজ: বিসিএসের স্বপ্ন দেখেছিলেন কখন থেকে?
মো. শাহাব উদ্দিন: আমি যখন অনার্স ১ম বর্ষে পড়ি; তখন থেকেই ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা শুরু করি। পাশাপাশি আমার বিভাগের স্যারদের কাছ থেকে পরামর্শ নিই। শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা আমাকে মোটামুটি একটা গাইড লাইন দিয়েছিলেন। সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করি। এরপর থেকে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি।

জাগো নিউজ: বিসিএস যাত্রার গল্প শুনতে চাই, প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছেন?
মো. শাহাব উদ্দিন: প্রথমে ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে মোটিভেশনাল বা দিকনির্দেশনামূলক ভিডিওগুলো দেখতাম। পরে এক সেট বই কিনলাম। যেই টপিকগুলো বুঝতাম না; সেই টপিকগুলো ইউটিউবে ভিডিও দেখে সমাধান করতাম। এরপর কোচিং সেন্টারে প্রচুর মডেল টেস্ট দিতাম। প্রিলি পাস করার পর একটি কোচিং সেন্টারে লিখিত মডেল টেস্ট দিয়েছি। ভাইভাটা নিজে নিজে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।

জাগো নিউজ: আড়াল থেকে কেউ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন?
মো. শাহাব উদ্দিন: আড়াল থেকে অনেকেই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, তাদের নাম লিখে শেষ করা যাবে না। তবে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আমার কিছু ভালো বন্ধু ছিল। আমরা একে অপরকে পড়াশোনার বিষয়ে সহযোগিতা করতাম। আমার সব বন্ধু এখন ভালো ভালো জায়গায় চাকরি করে। পরিশেষে আমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আরও পড়ুন: ইংরেজি ও গণিতে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে: রণজিৎ 

জাগো নিউজ: নতুনরা বিসিএসের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
মো. শাহাব উদ্দিন: বিসিএস হলো ধৈর্যের পরীক্ষা। এখানে মেধা, পরিশ্রম আর নিয়মিত পড়াশোনা করা লাগে। নতুনদের বলবো, লেগে থাকুন। নিজের দুর্বলতা বের করুন। বিসিএসের সিলেবাসটা ভালো করে বুঝতে হবে। মানুষ চাইলে কী করতে পারে না? যদি আপনি লেগে থাকেন, সফলতা আসবেই।

জাগো নিউজ: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মো. শাহাব উদ্দিন: ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার প্রতি আমার টান ছিল। শিক্ষার একজন আদর্শ কারিগর হতে চাই। ছাত্র-ছাত্রীদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। আমার ইচ্ছা আছে, পঠিত বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করবো। পাশাপাশি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলার আদর্শ সৈনিক হতে চাই।

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।