দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই: আরিফ ইমরান

বেনজির আবরার
বেনজির আবরার বেনজির আবরার , ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ০২:৩৮ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

চাকরির বাজারে নানামুখী চ্যালেঞ্জ থাকে। থাকে তরুণদের মধ্যে সঠিক চাকরি খুঁজে পাওয়ার একরকম চেষ্টা। এসব নিয়েই আজ কথা হবে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের অর্গানাইজেশনাল ডেভেলপমেন্ট ও ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রধান মো. আরিফ ইমরান খানের সঙ্গে। জাগো নিউজের পক্ষ থেকে এই মানবসম্পদ পেশাজীবীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বেনজির আবরার—

জাগো নিউজ: প্রথমেই নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন—
মো. আরিফ ইমরান খান: আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় আমি। ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতাম পাইলট হবো। উড়োজাহাজ চালানোর স্বপ্নপূরণ না হলেও বর্তমানে শীর্ষস্থানীয় একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের অর্গানাইজেশনাল ডেভেলপমেন্ট ও ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।

বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় সব সময় দেশের প্রতি কিছু করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করেছে আমাকে। সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা আর নিয়মানুবর্তিতার চর্চার মধ্যেই আমার জীবন। ছোটবেলায় ক্রিকেটপ্রেমী ছিলাম। পরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে এমবিএ সম্পন্ন করি।

আরও পড়ুন: ভাইভা বোর্ডে ফার্স্ট ইম্প্রেশন বেশ গুরুত্বপূর্ণ 

বাবা সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হওয়ায় দেশে-বিদেশে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে। আমার ছোট ১ ভাই ও ১ বোনকেও আদরের সঙ্গে বড় করেছি। তিন ভাই-বোনের ভালোবাসা, আদর-স্নেহ আমাদের পারিবারিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করেছে। আমার দুই মেয়ে মারিয়াম, আয়েশা ও স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকি। জীবনের নানা পরিস্থিতিতে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে পাশে আছেন স্ত্রী ফাতিমা সুলতানা শরীফ।

jagonews24

জাগো নিউজ: আপনার ক্যারিয়ারের গল্প শুনতে চাই—
মো. আরিফ ইমরান খান: কর্পোরেট সেক্টরে ১৪ বছরের বেশি কাজ করছি। নেতৃত্ব দিয়েছি ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, পাওয়ার প্ল্যান্ট, এফএমসিজি এবং ই-কমার্স সেক্টরে। এছাড়া গৃহহীন মানুষের আশ্রয় তৈরি করে দেওয়া, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে দেশীয় অর্থনীতিতে যুক্ত করার স্বপ্ন নিয়ে নিজ উদ্যোগে কাজ করার চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন: টানা সাত বছরের চেষ্টায় সফল সোহান 

জাগো নিউজ: চারপাশের হতাশ তরুণদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
মো. আরিফ ইমরান খান: হতাশ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমার একটি কথা মনে রাখতে পারেন, সেটি হলো—‘বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অনেক বেশি জানতে হবে। সুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে প্রতিটি সেক্টরে।’ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশকৃত ফ্রেশ গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বলবো, ‘স্কিল ডেভেলপমেন্টের কোনো বিকল্প নেই। কর্মক্ষেত্রে সততা, সময়ানুবর্তিতা খুব প্রয়োজন। নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির সঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে।’

জাগো নিউজ: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মো. আরিফ ইমরান খান: সুযোগ পেলে দেশের একটি বিরাট সংখ্যক মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করে যেতে চাই। আমার মাধ্যমে যত বেশি সম্ভব মানুষের উপকার হোক।

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।