পরিশ্রম কখনো বিফলে যায় না: এম এ মান্নান

আনিসুল ইসলাম নাঈম
আনিসুল ইসলাম নাঈম আনিসুল ইসলাম নাঈম , ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ১৪ জুন ২০২৩

কৃষিবিদ এম এ মান্নান ৩৬তম বিসিএসে কৃষি ক্যাডারে উত্তীর্ণ হন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায়। তিনি রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে এগ্রিকালচার বিষয়ে অনার্স এবং সয়েল সায়েন্স বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি পত্রিকায় শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ক্লাস নিয়ে থাকেন।

সম্প্রতি জাগো নিউজের সঙ্গে তার বিসিএস জয়, ক্যারিয়ার পরামর্শ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম—

jagonews24

জাগো নিউজ: আপনার শৈশব ও পড়াশোনা সম্পর্কে জানতে চাই—
কৃষিবিদ এম এ মান্নান: আমার শৈশব কেটেছে জন্মস্থান নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায়। সেই ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি। প্রাইমারি স্কুলে হেঁটে যেতাম। আমার সময় লাগত প্রায় ২৫ মিনিট। হাইস্কুলেও হেঁটে যেতাম। সময় লাগত ৩৫ মিনিট। স্কুলে আমি ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভের ভূমিকায় ছিলাম। স্কুলের সব টিচার, ফ্রেন্ড, সিনিয়র, জুনিয়রের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। হাইস্কুল লাইফটা অনেক সুন্দর ছিল। স্কুলের পুরো সময় ফ্রেন্ডদের সাথে অনেক প্রাণোচ্ছল সময় কাটাতাম। আমি কখনো স্বপ্ন দেখিনি, একদিন শহরে এসে পড়াশোনার সুযোগ পাব। এসএসসিতে এ প্লাস পাওয়ার পর আমার প্রচণ্ড ইচ্ছা জাগলো ভালো পরিবেশে পড়াশোনা করে ভালো কিছু করার। এরপর তৎকালীন রাজশাহী বিভাগের মধ্যে অত্যন্ত সুপরিচিত, সুনামধন্য রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলাম। রাজশাহীতে আমাকে কলেজে পড়াতে গিয়ে আব্বা-আম্মার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তবে আমি এখানে সফল হয়েছি। এইচএসসিতে এ প্লাস পেয়েছি। পরে বাংলাদেশে কৃষি শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছি।

জাগো নিউজ: বিসিএস দেবেন, এমন ভাবনা কখন মাথায় এলো?
কৃষিবিদ এম এ মান্নান: আমি দু’বার মেডিকেল অ্যাডমিশন দিয়েছি। কিন্তু মেডিকেলে চান্স হয়নি। অবশেষে ভাবলাম, ভালো করে একাডেমিক পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবো। কিন্তু প্রথম সেমিস্টারের রেজাল্টের পর বুঝতে পারলাম, কোনোভাবেই আমার স্বপ্নপূরণ হওয়া সম্ভব নয়। তখন দেখতাম, বিসিএসের রেজাল্ট হলেই আমাদের ক্যাম্পাস থেকে বিপুল সংখ্যক বড় ভাই, আপু ক্যাডার হতেন। তখন থেকে আমার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু।

আরও পড়ুন: ই-কমার্স নির্দেশিকায় কী আছে কী নেই 

jagonews24

জাগো নিউজ: বিসিএস ক্যাডার হতে কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন?
কৃষিবিদ এম এ মান্নান: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই ক্যাম্পাসে অনেক ভালো সময় কাটতো। আমি প্রথম সেমিস্টার থেকেই কৃষি অনুষদে সেকশন-এ এর ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিলাম। আমার সেকশন-এ’র ১-১২৯ পর্যন্ত আইডি নাম্বারের সবার নাম এবং আইডি নাম্বার আমার মুখস্থ ছিল। এখনো মুখস্থ আছে। অনার্স ৪র্থ বর্ষে আমি সেকশন-এ’র নির্বাচিত ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির মেম্বার হই। আমার ব্যাচমেটদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি। অনার্স ২য় বর্ষে অনেকগুলো সংগঠনের সাথে যুক্ত হই। এর মধ্যে রোটার্যাক্ট ক্লাব অব এগ্রি ভার্সিটি এবং বাঁধন অন্যতম। এ ছাড়া পরে সংগীত সংঘ, ডিবেটিং সোসাইটির সাথেও যুক্ত ছিলাম। অনার্স ২য় বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষার পর গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে এসেই বিসিএস প্রিলির বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক এবং বাংলা বই কিনেছিলাম। এরপর থেকেই একাডেমিকের পাশাপাশি অবসর পেলেই বিসিএসের বই পড়তাম। যখন খুব কাছ থেকেই দেখতাম, ক্যাম্পাস থেকে বিপুল সংখ্যক বড় ভাই, আপু ক্যাডার হচ্ছেন; তখন আরও উৎসাহ পেতাম। অনার্স শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমার বিসিএস প্রস্তুতিটাও যেন শেষ হয়, সেদিকে নজর রাখতাম। রোটার্যাক্ট ক্লাবে আমাদের বিসিএস ক্লাবও ছিল। সেখানেও নিজেরা নিজেরা পড়তাম।

আবার ক্যাম্পাসের খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড শুভজিৎ, টুটুল, মনিরুজ্জামান, শাকিল, নাঈম, হুমায়ুনদের সাথে পড়াশোনা নিয়ে আলোচনা করতাম। একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি আমি প্রতিদিন বিসিএসের জন্য কিছু না কিছু পড়তাম। ৭৬ হাজার টাকা বেতনের প্রোজেক্টের চাকরি বাদ দিয়ে বিসিএসের জন্য পড়াশোনা করেছি। ২০১৫ সালে ৩৬তম বিসিএস প্রিলিতে আবেদন করলাম। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রিলিতে টিকলাম। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষায় টিকলাম। ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবরে সেই কাঙ্ক্ষিত দিন; যেদিন ৩৬তম বিসিএসে ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হই। সেদিন রেজাল্ট পেয়েই প্রথমে আব্বা এবং আম্মার সাথে কথা বলি। তারা অনেক খুশি হন। খুশিতে কথা বলার সময় কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে। আমার সফলতার পেছনে আব্বা, আম্মা, ছোট বোন অনেক কষ্ট করেছে। তাদের প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা সব সময়। বিসিএস ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার প্রায় ১০ মাস পর ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জয়েন করি। মাঝের ১০ মাস ওরাকল বিসিএসের জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, নাটোর, রাজশাহী, গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর, ভৈরব, সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, সাভার, ঢাকা ব্রাঞ্চে ক্লাস নিতাম। পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীদের প্রস্তুতি বিষয়ে পরামর্শ দিতাম।

জাগো নিউজ: কর্মজীবন কেমন কাটছে, কেমন উপভোগ করছেন?
কৃষিবিদ এম এ মান্নান: কর্মজীবন বেশ ভালোই কাটছে। রাজশাহী জেলা কৃষিতে অত্যন্ত অগ্রগামী। এ জেলা বাংলাদেশের মধ্যে আম, পান, সবজি, আলু, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ও টমেটো, সবজি, ধান, সরিষাসহ অনেক ফসল উৎপাদনেই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কাজের ব্যস্ততা যেমন অনেক বেশি; তেমনই ভালো কাজ করে সুনাম অর্জন করা এবং খুব দ্রুত পরিচিত হওয়ারও সুযোগ থাকে। আমি কাজকে নিজের মনে করি এবং যেটি করি; সেটি ভালোভাবে করার চেষ্টা করি।

jagonews24

আরও পড়ুন: গ্রোথ মার্কেটিংয়ে অপার সম্ভাবনা আছে: মেহজাবিন বাঁধন 

জাগো নিউজ: একজন শিক্ষার্থী ক্যারিয়ারের জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করবেন?
কৃষিবিদ এম এ মান্নান: একজন শিক্ষার্থীকে প্রথমত একাডেমিক পড়াশোনার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। ভালো
রেজাল্ট করতে পারলে শিক্ষক হওয়ার সুযোগ থাকবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত। এতে একদিকে তার পরিচিতি বাড়বে, বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা বাড়বে, কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে, কর্মদক্ষতা বাড়বে, মন-মানসিকতা ভালো থাকবে, ভালো কিছু করার উৎসাহ জাগবে। প্রতিদিন কয়েকটি পত্রিকা পড়া দরকার। বিশেষ করে প্রথম পেজ এবং সম্পাদকীয় পেজ ভালো করে পড়া দরকার। রেজাল্ট খুব বেশি ভালো না হলে অনার্স ৩য় বর্ষ থেকেই বিসিএস বা চাকরির প্রস্তুতি বিষয়ক পড়াশোনা শুরু করা দরকার। অনার্স শেষ হলে চাকরির প্রস্ততিও যেন শেষ হয়, এমন ভাবে পড়তে পারলে আরও ভালো হয়। অনার্সে থাকা অবস্থায়ই চাকরির জন্য কী কী বিষয় পড়তে হয়, কীভাবে পড়তে হয় তা ভালোভাবে জানতে হবে। পাশাপাশি সে অনুয়ায়ী সাজেশন ভিত্তিক রুটিন মাফিক প্রতিদিন একটু একটু করে পড়া গুছিয়ে নেওয়া উচিত।

জাগো নিউজ: নতুনদের চাকরির প্রস্তুতি কীভাবে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন?
কৃষিবিদ এম এ মান্নান: চাকরির প্রস্তুতি নিতে হলে আগে ঠিক করতে হবে, আপনি বিসিএস, ব্যাংক, প্রাইমারি নাকি নিবন্ধনের জন্য প্রস্তুতি নেবেন। যে বিষয়ে প্রস্তুতি নেবেন, সে বিষয়ে মোট কত নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়, পরীক্ষায় কয়টি ধাপ আছে, কোন কোন সাবজেক্ট থেকে কত নম্বরের প্রশ্ন হয়; তা জানতে হবে। বিসিএস প্রস্তুতি নিতে চাইলে আগে জানতে হবে, বিসিএসে মোট ৩টি ধাপ আছে। প্রথম ধাপে প্রিলিমিনারিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। প্রিলিমিনারিতে মোট ১০টি সাবজেক্ট পড়তে হয়। দ্বিতীয় ধাপ বিসিএস লিখিততে ৯০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তৃতীয় ধাপে ২০০ নম্বরের ভাইভা হয়। এরপর বিষয়ভিত্তিক বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে। যেমন বিসিএস প্রিলিতে গণিতে নম্বর আছে ১৫। গণিতকে আবার ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পাটিগণিত-৩, বীজগণিত-৬, জ্যামিতি-৬। পাটিগণিতে ৩ নম্বরের জন্য ৬টি অধ্যায় করতে হবে। এভাবে সব সাবজেক্ট জানবেন। রুটিন করে পড়াশোনা করবেন। প্রতিদিন রুটিন না করে ১ মাসব্যাপী রুটিন করতে পারেন। সাজেশন ভিত্তিক পড়াশোনা করতে হবে। কোন কোন টপিকস থেকে বেশি প্রশ্ন থাকে, কোন কোন টপিকস থেকে কম পশ্ন থাকে; তা জানতে হবে। যে অধ্যায়গুলো থেকে প্রতি বছর প্রশ্ন থাকে; সেগুলো আগে পড়বেন এবং ভালোভাবে পড়বেন। যে টপিকস পড়া শুরু করবেন; সেটি শেষ না করে অন্য টপিকসে যাবেন না। যখন গণিতের শতকরা শুরু করবেন; তখন সেটি শেষ না করে অন্য কোনো সাবজেক্ট পড়তে যাবেন না। সব বই একবার করে পড়া শেষ হওয়া মাত্রই আপনি জব সলিউশন পড়া শুরু করবেন। প্রথমবার পড়ার সময় ব্যাখ্যা ছাড়াই পড়বেন। আগে ২০২৩ সালের প্রশ্ন পড়বেন। তারপর ২০২২ এবং ২০২১ সালের। এভাবে পেছনে যতটুকু সম্ভব পড়বেন।

আরও পড়ুন: ই-কমার্সে এসক্রো সিস্টেম আসলে কী? 

jagonews24

জাগো নিউজ: অনেকে প্রথমবার ব্যর্থ হয়েই হাল ছেড়ে দেন, তাদের উদ্দেশ্যে কী বলবেন?
কৃষিবিদ এম এ মান্নান: কোনোভাবেই হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। মনে রাখবেন, চাকরির বাজারে শুধু আপনি এবং আপনার ব্যাচমেটরাই পরীক্ষা দিচ্ছেন না। আপনার ২ বছর বা ৩ বছর সিনিয়ররাও পরীক্ষা দিচ্ছেন। আপনার ১ বছর বা ২ বছরের জুনিয়ররাও পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাই প্রস্তুতিটা কেমন হওয়া দরকার, বুঝতেই পারছেন। চাকরি পাওয়ার মূলমন্ত্রই হচ্ছে অনেক ধৈর্যশীল এবং অধ্যবসায়ী হতে হবে। পরিশ্রম কখনো বিফলে যায় না। পরিশ্রম করে সফল না হলে বুঝবেন, নিশ্চয়ই আপনার চেয়েও কেউ বেশি পরিশ্রম করছেন।

জাগো নিউজ: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন—
কৃষিবিদ এম এ মান্নান: বাংলাদেশ একটি কৃষিভিত্তিক দেশ। কৃষিই এ দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। আমি পড়াশোনা করেছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আবার জব করছি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। তাই ভবিষ্যতে কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চাই। কৃষিতে বিভিন্ন ধরনের ফসলের নতুন নতুন জাতের সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, যান্ত্রিকীকরণে সহযোগিতার মাধ্যমে উৎপাদন ব্যয় কমানো ও সময় সাশ্রয় করা, কৃষিতে আবহাওয়া সংক্রান্ত জরুরি তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান হ্রাস করা, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক কৃষি নিয়ে কাজ করতে চাই। সেই সঙ্গে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চাই। অবসর সময়ে চাকরির প্রস্তুতি বিষয়ে প্রার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে চাই। আমার সফলতার কারিগর আব্বা-আম্মাকে সুখী রাখতে চাই। বিভিন্ন ভাবে মানুষের উপকার করে যেতে চাই।

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।