নবম জাতীয় পে-স্কেলে বৈষম্য


প্রকাশিত: ০৬:২০ এএম, ০৯ মার্চ ২০১৬

নবম জাতীয় পে-স্কেল বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় জ্যেষ্ঠ চাকরিজীবীরা বঞ্চিত হবেন। ফলে তাঁরা হতাশায় ভুগছেন। সমস্যাটি নিরসনে বেতনকাঠামোতে আবারও পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে ২০ ফেব্রুয়ারি খবর ছাপা হয়েছে।

জানলাম, যেসব চাকরিজীবী একই পদে আগে যোগদান করেও পরে যোগদান করা অর্থাৎ জুনিয়র চাকরিজীবীর তুলনায় বেতন কম পাচ্ছেন, তাঁরা ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত যোগদানের তারিখে একটি করে ইনক্রিমেন্ট পাবেন।

আমি ব্যক্তিগতভাবে তেমনই একজন ভুক্তভোগী মানুষ। সপ্তম গ্রেডে চাকরি শুরু করেছিলাম আমি। ৩০ জুন ২০১৫ তারিখে আমার মূল বেতন ছিল ২২ হাজার ৭০০ টাকা, আর নতুন পে-স্কেলে বেতন নির্ধারণ হয় ৩৭ হাজার ৩০ টাকা।

অপর দিকে ৩০ জুন, ২০১৫ তারিখে সপ্তম গ্রেডভুক্ত ও একই পদে থাকা আমার এক কনিষ্ঠ সহকর্মীর বেতন ছিল ২১ হাজার ৩০০ টাকা। চাকরিকালের দিক থেকে তিনি আমার চেয়ে চার বছরের কনিষ্ঠ। এত দিন তাঁর মূল বেতন আমার চেয়ে ১ হাজার ৪০০ টাকা কম থাকলেও ২৯ জুলাই, ২০১৫ তারিখে তাঁর মূল বেতন দাঁড়ায় ৩৮ হাজার ৮৯০ টাকা। অর্থাৎ আমার চেয়ে বেশি।

এ ধরনের কাঠামোগত সমস্যার কারণে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে সরকারকে এ দিকে নজর দিতে হবে। এমন ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে এ ধরনের বৈষম্য না থাকে।

লেখক: চাকরিজীবী, খাগড়াছড়ি।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।