শিক্ষক নিব্ন্ধনেও চরম বৈষম্য


প্রকাশিত: ১১:০৮ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতে, ‘এটি যোগ্য ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলন’। আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম, কিন্তু এখন কষ্টে বুক ভেঙে যাচ্ছে।

সম্প্রতি এই এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আগের সাড়ে চার লাখ নিবন্ধিত প্রার্থীকে বাইরে রেখে শুধু ১২তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ ৪৫ হাজার প্রার্থীর মধ্য থেকে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

এদের ৯০ ভাগই মাস্টার্সে অধ্যয়নরত, যাদের লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর পুরনোদের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কম। অথচ প্রথম থেকে ১১তম পরীক্ষা পর্যন্ত যারা নিবন্ধিত হয়েছিলেন, তাদের মাস্টার্স শেষ। তারা অনেকেই লিখিত পরীক্ষায় ৭০ থেকে ৮৩ পর্যন্ত নম্বর পেয়েছেন।

এভাবে জ্যেষ্ঠদের রেখে কনিষ্ঠদের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে ব্যক্তিজীবনে ও সমাজে আমরা উপহাসের পাত্র হবো, যা আমাদের চরম হতাশার দিকে ঠেলে দেবে। আমরা এর প্রতিকার চাই।

লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।