দেশের পণ্য বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চান ফাহমী
ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম ফাহমীর। তিনি ই-ক্যাবের স্মার্ট লজিস্টিকস স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সদ্যবিদায়ী কমিটিতে। বিক্রয় ডটকমের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন। অংশীদার হিসেবে আছেন ক্রাফটম্যান সল্যুশনসের। সমসাময়িক নানা বিষয় এবং ই-কমার্স খাত নিয়ে তার কথা হয় জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বেনজির আবরার—
আপনার ই-কমার্স খাতের গল্প শুনতে চাই—
মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম ফাহমী: এটি অনেক দীর্ঘ গল্প। আমাদের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির বাজার বড় হয়েছে অতি সম্প্রতি। যদিও আমরা দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছি এ খাতে। ই-ক্যাবের জন্মলগ্ন থেকে কোনো না কোনোভাবে চেষ্টা করেছি ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে থাকার। দেশীয় পণ্যের বাজারকে ক্রস বর্ডার ই-কমার্সের মাধ্যমে পৃথিবীজুড়ে ছড়াতে চাই। সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা হলো কোভিড-১৯। আমি দিন-রাত খেটেছি আমাদের সব সদস্য যাতে করোনার দিনগুলোয় ‘ই-ক্যাব স্টিকার’ দ্রুত পান।
করোনাকালে আপনার ভূমিকা বেশ প্রশংসিত হয়েছে ই-কমার্স খাতে, সে সময় সম্পর্কে কিছু বলুন—
মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম ফাহমী: কোভিড-১৯ আমাদের জন্য নানা রকম বাধা তৈরি করে। আমরা বিধিনিষেধের মধ্যে অনলাইনে কেনাকাটাকে উৎসাহিত করার জন্য কাজ করেছি। লকডাউনের প্রথম দিনেই ই-ক্যাবের মেম্বার কোম্পানি যাতে সচল থাকে, তার জন্য নিজে এ গর্বিত পদক্ষেপের তত্ত্বাবধানে থেকে প্রিন্টিং ও ডিস্ট্রিবিউশন পরিচালনা করেছি। আমি দেখেছি, পুরো ই-কমার্স সেক্টর কীভাবে দেশে পজিটিভ ভাব এনেছিল।
ই-ক্যাবের নির্বাচনে আপনি প্রার্থী, সদস্যদের জন্য কী করতে চান?
মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম ফাহমী: আমার বিশ্বাস, আমাদের ঐক্য প্যানেলের ইশতেহার অনুযায়ী সুসংগঠিত ই-ক্যাব, ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন, উদ্যোক্তা সুরক্ষা ও বিনিয়োগ, গ্রামীণ ই-কমার্স ও প্রান্তিক ডেলিভারি সেবা, ই-ট্যুরিজম ও সেবাভিত্তিক ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন, ই-কমার্স বান্ধব নীতি, নির্দেশিকা, আইন ও বিধি তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা পালন, ক্রস বর্ডার ই-কমার্স, ই-কমার্সের বাজার সম্প্রসারণ, সুসংগঠিত ই-ক্যাব গঠনে মনোনিবেশসহ সব বিষয় বাস্তবায়ন করতে পারলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াবে। পাশাপাশি আমি জয়ী হলে মাসে অন্তত একবার সদস্যদের সঙ্গে দেখা করব। তাদের পরামর্শক হিসেবে কাজ করব।
ই-কমার্সে আপনার উল্লেখযোগ্য কোনো স্মৃতির কথা যদি বলতেন—
মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম ফাহমী: বাংলাদেশে অ্যামাজনের প্রতিনিধি দল এলে আমিই প্রথম ই-ক্যাবের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক ঠিক করে দিই। এটা আমার জন্য দারুণ ব্যাপার ছিল।
তরুণ যারা উদ্যোক্তা হতে বা ই-কমার্সে চাকরি করতে আগ্রহী, তাদের জন্য পরামর্শ—
মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম ফাহমী: দেশের বর্তমান অবস্থায় প্রচুর কর্মসংস্থান হতে পারে আইসিটি খাতেই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ খাতে কর্মসংস্থানে আগ্রহী ছেলেমেয়েরা যদি ধৈর্য, শেখার আগ্রহ, ই-কমার্সের নিত্যনতুন বিষয়গুলোকে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে; তবে যে কেউ এখানে ভালো করবে।
এসইউ/জিকেএস