মেডিকেল সেক্টরে ক্যারিয়ারের সুযোগ

বেনজির আবরার
বেনজির আবরার বেনজির আবরার , ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ০৩:০৮ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২১

ক্যারিয়ার নিয়ে স্বপ্ন দেখতে কে না ভালোবাসে! সবাই চায়, নিশ্চিত একটি ক্যারিয়ার হোক। তবে দেশে যেমন স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণী আছে; তেমন স্বপ্নপূরণের সুযোগ খুব বেশি নেই। আর সে স্বপ্ন যদি হয় মেডিকেল সেক্টরে ক্যারিয়ার নিয়ে। তাহলে তো প্রথমেই হোচট খেতে হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে বেকারত্ব সমস্যার প্রধান কারণ কর্মমুখী শিক্ষার অভাব। বেকারত্ব নিরসনের লক্ষ্যে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানকারী প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান সংখ্যায় খুবই কম। ফলে হাজারো তরুণ-তরুণী উপযুক্ত সুযোগের অভাবে নিজের পছন্দ অনুযায়ী মেডিকেল সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন না।

তাই তো এ সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ট্রমা ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল’। অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি বেকারত্ব সমস্যা লাঘব এবং শিক্ষার্থীদের মেধাকে সঠিকভাবে বিকশিত করতে এগিয়ে এলেন। তিনি ২০১০ সালে এ মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মনে করেন, একমাত্র কর্মমুখী শিক্ষাই পারে দক্ষ জনবল তৈরি করতে। সে কারণেই তার এমন মহান উদ্যোগ।

বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল স্বীকৃত ‘ট্রমা ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল’। ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির পথচলা শুরু হয়েছিল অল্পসংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে। যা ধীরে ধীরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে বিশাল পরিবারে পরিণত হয়েছে।

২০১০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পথচলায় প্রতিষ্ঠানটি অনেক অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে। ফলে এর কয়েকটি শাখা তৈরি হয়েছে। তরুণ স্বপ্নবাজদের স্বপ্নপূরণের নির্ভরযোগ্য অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে ট্রমা আইএমটি, ট্রমা ম্যাটস, শ্যামলী ম্যাটস, টাঙ্গাইল ম্যাটস। সুশিক্ষা এবং দক্ষতা অর্জনের কেন্দ্র হিসাবে সফলতার শীর্ষে অবস্থান করছে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলো।

দেশের একমাত্র সর্ববৃহৎ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্টিটিউট এটি। এর আছে বিশাল ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ল্যাব, ডিজিটাল ক্লাসরুম, শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব পরিবহন, দক্ষ ও পরিশ্রমী শিক্ষক। এছাড়াও আছে সুগঠিত পরিচালনা কমিটি। যার চেয়ারম্যান হলেন প্রতিষ্ঠাতার ছেলে জিয়াউল হক। ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত তানজিনা খান।

কর্তৃপক্ষ জানায়, সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা দিতে সক্ষম এ প্রতিষ্ঠান মেডিকেল সেক্টরে ক্যারিয়ার তৈরির স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। মানসম্মত শিক্ষার ব্যাপারে বরাবরই বদ্ধপরিকর প্রতিষ্ঠানটি।

আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে মেডিকেল সেক্টরে প্রতিবছর অসংখ্য জনবল প্রয়োজন হয়। কিন্তু দক্ষ জনবলের অভাব বরাবরই অপূরণীয় ছিল। দেশের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় দক্ষ মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের চাহিদা আছে ব্যাপক। সে চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ট্রমা ম্যাটস দক্ষ জনবল তৈরি ও সরবরাহ করার মাধ্যমে অভাবনীয় ভূমিকা রাখছে।

চার বছর মেয়াদী কোর্সে তিন বছর ডিপ্লোমা এবং এক বছর ইন্টার্নিশিপের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের দক্ষ এবং উপযুক্ত করে গড়ে তুলছে। এছাড়া মেধাবীদের নিশ্চিতভাবে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিচ্ছে ট্রমা ম্যাটস। বেকারত্বের এ সময়ে এসে নিশ্চিত কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দিচ্ছে তারা। ফলে অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী খুব সহজেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।