প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষায় গণিতের প্রস্তুতি
চাকরি সোনার হরিণ। আর সরকারি চাকরির মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি এখন সবার পছন্দের। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নিজের এলাকায় বসেই চাকরি করতে পারেন। বিশেষ করে নারীদের জন্য এ চাকরি খুবই সহজ এবং আরামদায়ক। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সারা দেশে (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ছাড়া) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ আগস্ট শেষ হবে আবেদনের সময়সীমা। আবেদনের পর নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। শুধু আবেদন করলেই চাকরি হয়ে যায় না। পাশাপাশি কঠোর অধ্যবসায়ের প্রয়োজন হয়। সে জন্য বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করতে হয়। তাই আজ গণিত বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোকপাত করা হচ্ছে-
> আরও পড়ুন- সাধারণ জ্ঞান : গণিতের প্রাথমিক ধারণা
গণিত: গণিতের সমাধান বের করতে অনেকে বেশি সময় নিয়ে ফেলেন। এ ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। পুরনো পাঠ্যক্রমের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম ও নবম- দশম শ্রেণির গণিত বই অনুসরণ করতে হবে। দেখে যেতে হবে এইচএসসি পর্যায়ের বইও।
চর্চা: গণিতের প্রস্তুতি এমনভাবে নিতে হবে যেন মুখে মুখেই অঙ্কের বেশির ভাগ সমাধান করে নেওয়া যায়। বারবার চর্চা করলেই এটা সম্ভব।
পাটি গণিত: পাটি গণিত থেকে সুদ-কষা, ঐকিক নিয়ম, লাভ-ক্ষতি, ভগ্নাংশ, ধারাপাতগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে।
বীজ গণিত: বীজ গণিতের প্রথম পর্যায়ের কিছু অঙ্ক থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। বীজ গণিতের বিভিন্ন সূত্রও আত্মস্থ করতে হবে। অনেক সময় দশমিকের গুণ, ভাগ থাকে।
> আরও পড়ুন- সাধারণ জ্ঞান : শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা- গণিত
জ্যামিতি: জ্যামিতির সাধারণ সূত্র ও সংজ্ঞা থেকেও প্রশ্ন আসে। ত্রিভূজ, চতুর্ভূজ, বর্গক্ষেত্র, আয়তক্ষেত্র নিয়েও চর্চা করতে পারেন। জ্যামিতি বিষয়ক কিছু ছোট প্রশ্ন আছে, যেগুলো পরীক্ষায় আসতে পারে।
লক্ষণীয়: পরীক্ষার সময় কিন্তু সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর সঙ্গে নেওয়া যাবে না। সাধারণ ক্যালকুলেটর নেওয়া গেলেও সময় স্বল্পতার কারণে সব সময় ব্যবহার করতে যাওয়াটা বোকামি।
এসইউ/পিআর