একটি চেয়ার আপনার অপেক্ষায়


প্রকাশিত: ০৮:২৩ এএম, ২৯ মার্চ ২০১৭

ছোটবেলায় একটা কথা খুব শুনতাম- কৃষকের ছেলে কৃষক, ড্রাইভারের ছেলে ড্রাইভার, মুচির ছেলে মুচি হয়। কথাটার গ্রহণযোগ্যতা এখন আর নেই। এখন আর চায়ের দোকানদারের ছেলে চায়ের দোকানদার হয় না! রিকশাওয়ালার ছেলে রিকশার প্যাডেল ঘুরায় না। রিকশাওয়ালার ছেলেও এখন বিমান ঘুরায়!

নিয়ম বদলে গেছে। সমাজ বদলে গেছে। সভ্যতার নগরপৃষ্ঠে চড়ে মানুষ নিজেকে তৈরি করতে শিখে গেছে। ব্যবচ্ছেদটা বেড়ে গেছে। আধুনিক হয়েছি আমরা। এখন আর কাউকে পড়াশোনার জন্য গাছে বেঁধে মারতে হয় না। চারপাশের শ্রেণিভুক্ত মানুষগুলো জানান দেয়, আপনাকেও তাদের মতো হতে হবে!

এই জানানটা একজন চাষার ছেলেকে তৈরি করে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। নিজেকে গড়ে তোলার জন্য কাড়ি কাড়ি টাকা লাগে না। চাষার ছেলেরাও এখন ভার্সিটির বারান্দায় সহপাঠী নিয়ে ঘোরাফেরা করে। কারণ তারা উন্নত হতে শিখেছে। পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো তাদের দিকে তাকিয়ে দৌড়ায়!

একসময় অভাব শব্দটার সঙ্গে পড়াশোনার একটা বন্ধুত্বের সর্ম্পক ছিলো। তবে এখন দিন বদলেছে। টাকার জন্য এখন কারো পড়া বন্ধ হয় না। একেবারে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও এখন বড় বড় ভার্সিটির সেরা ছাত্র। কারণ তারা নিজেদের তৈরি করে নিয়েছে!

অন্যরা যখন সফলতার গল্প বলবে তখন আর আপনি দৌড়ানোর শক্তি পাবেন না। তাই নিজেকে তৈরি করতে গিয়ে পেছনে তাকাবেন না। পেছনে তাকালেই পড়ে যাবেন। এগিয়ে গেলে হাত ধরার জন্য কেউ না কেউ প্রস্তুত আছে। শুধু সীমানাটা পেরিয়ে যেতে হবে। তাহলেই একটি চেয়ার আপনার অপেক্ষায়!

লেখক : শিক্ষার্থী, ঢাকা

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।