১০ হাজার কনস্টেবল নেয়া হবে পুলিশে

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৭ এএম, ১০ মার্চ ২০১৭

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে জনবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া হবে। ৮-১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় বাছাই প্রক্রিয়া চলবে। পুরুষ কনস্টেবল ৮ হাজার ৫০০ এবং নারী কনস্টেবল ১ হাজার ৫০০ জন নিয়োগ দেয়া হবে।

প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলায় শারীরিক মাপ ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শেষে বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া তারিখ অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

প্রার্থীর যোগ্যতা :

বয়স :
সাধারণ/অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ০১/০৪/২০১৭ তারিখে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর (০২/০৪/১৯৯৯ হতে ০২/০৪/১৯৯৭ এর মধ্যে জন্ম)। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে ০১/০৪/২০১৭ তারিখে ৩২ বছর হতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা :
এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.৫, বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে ও অবিবাহিত হতে হবে।

শারীরিক মাপ :
সাধারণ ও অন্যান্য কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, উপ-জাতীয় কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। নারী প্রার্থীদের সকল কোটা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।

শারীরিক মাপ ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণকালে সঙ্গে যা যা আনতে হবে :
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/সাময়িক সনদপত্রের মূল কপি। ইউনিয়ন পরিষদের পরিষদের চেয়ারম্যান/সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূল কপি। প্রার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি (যদি না থাকে মাতা/পিতার পরিচয় পত্রের মূল কপি)। সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।

পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা। ১-২২১১-০০০০-২০৩১ নম্বর কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমাপূর্বক চালানের কপি আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে পিতা/মাতা/পিতামহ/ মাতামহের নামে ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের মূল কপি যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও প্রতি স্বাক্ষরিত হতে হবে।

পুলিশ পোষ্য কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পিতা/মাতার নাম, পদবী, বিপি নম্বরসহ কর্মরত ইউনিটের প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্রের মূল কপি সঙ্গে আনতে। আনসার ও ভিডিপি কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪২ দিন মেয়াদী প্রশিক্ষণের মূল সনদপত্র আনতে হবে।

পরীক্ষা পদ্ধতি :
নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে দৌড়, রোপিং ও জাম্পিং ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরৎলিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে (ন্যূনতম ৪৫% মার্ক প্রাপ্তদের উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হবে)। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

নির্বাচন পদ্ধতি :
লিখিত মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিবেচিত হলে প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হবে।

প্রশিক্ষণকালীন সুবিধা :
প্রশিক্ষণকালীন বিনামূল্যে পোষাক সামগ্রীসহ থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার সুবিধা দেয়া হবে এবং ৭৫০/-টাকা হারে প্রশিক্ষণ ভাতা দেয়া হবে।

নিয়োগ ও চাকরীর সুবিধাদি :
প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৭তম গ্রেড (৯০০০-২১৮০০/-) টাকা ও অন্যান্য বেতন-ভাতাদিসহ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হবে। বিনামূল্যে পোশাক সামগ্রী ঝুঁকি ভাতা, চিকিৎসা ভাতা সহ রেশন সামগ্রী স্বল্প মূল্যে দেয়া হবে।

Police

জেইউ/এআরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।