পেনশন বৈষম্য নিরসন করুন
‘পেনশন ব্যবস্থায় সংস্কার আসছে’ শিরোনামে সম্প্রতি একটি ছোট প্রতিবেদন পত্রিকার পাতায় পড়লাম। ধারণা করা হচ্ছে, পেনশনধারীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে কিছু সংস্কারমূলক সিদ্ধান্তের বিষয় অর্থমন্ত্রীর বিবেচনাধীন।
জাতীয় বেতন কাঠামোয় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পেনশনধারীদের পেনশনও কিছু বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সেই বৃদ্ধি পর্যাপ্ত ও যথাযথ না হওয়ায় ৬৩-ঊর্ধে্বর পেনশনভোগীরা নবীনদের তুলনায় অনেক কম পেনশন পাচ্ছেন। এ ধরনের বৈষম্যের কারণে প্রবীণ পেনশনভোগীরা অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাপে পড়ছেন। এ অবস্থার নিরসন হওয়া প্রয়োজন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি সামগ্রীর দাম এতই বেড়েছে যে, পেনশনভোগীরা প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন। এই দুর্মূল্যের বাজারে ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা যারা পেনশন পাচ্ছেন তারা খুবই কষ্টে দিন পার করছেন।
এ অবস্থায় বর্তমান সময়ে সর্বনিম্ন পেনশন ভাতা থাকা উচিত ২০ হাজার এবং চিকিৎসা ভাতা কম করে হলেও ৫ হাজার টাকা। এতে পেনশনভোগীরা ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন। এ বিষয়টি অর্থমন্ত্রী বিশেষ বিবেচনায় রাখবেন বলে আশা রাখি।
সরকারি চাকুরেদের মধ্যে বেতন সমতাকরণের একটা বিধি প্রচলিত। পেনশনধারীদের জন্য এ রকম পেনশন সমতাকরণের বিধি প্রণয়ন করা উচিত।
ভারতের পেনশনভোগীরা কিন্তু এক বছর পার হলেই একটি করে ইনক্রিমেন্ট পেয়ে থাকেন। আমাদের দেশেও পেনশনভোগীদের জন্য প্রতি বছর একটি ইনক্রিমেন্ট প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
পেনশনভোগীদের শেষ জীবনটা যাতে ভালো যায়, এ জন্য পেনশন বাড়ানো হলে তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন বলে আশা রাখি।
লেখক: রূপনগর, ঢাকা।
এসইউ/আরআইপি