পেনশন ওঠাতে দুর্ভোগ


প্রকাশিত: ০২:০৯ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রাজধানীর উত্তরায় অনেক পেনশনধারী বাস করেন। তাঁদের ৪ নম্বর সেক্টরের সোনালী ব্যাংক, উত্তরা মডেল টাউন শাখা থেকে পেনশন ওঠাতে হয়। এই কাজের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই শাখার একটু দূরে একটি ছোট আবাসিক ভবনের দোতলা ভাড়া নিয়েছে। বাসাটি ছোট ও কক্ষগুলো অপরিসর ও অপর্যাপ্ত, ফলে তা ঠিক ব্যাংকের জন্য উপযোগী নয়।

প্রতিদিন প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ পেনশনধারী এখান থেকে পেনশন ওঠান। এখানে পেনশন বিতরণের ব্যবস্থায় চরম বিশৃঙ্খলা রয়েছে। এ ছাড়া বসার ব্যবস্থা অপ্রতুল। পেনশন অ্যাকাউন্টে টাকা পোস্টিং পেতে একেক জনকে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। ভেতর থেকে আস্তে করে নাম ডাকা হয়, বাইরে থেকে শোনা যায় না।

পুরুষেরা যেভাবে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাতে নারীরা ঢুকতে পারেন না। অপেক্ষার কক্ষটি ভেতরের দিকে, আবার সেখানে নেই কোনো জানালা। ফলে ভাদ্র মাসের গরমে অনেকেই জ্ঞান হারান। আর কোনো সভ্য দেশে বুড়ো মানুষদের পেনশন ওঠাতে এভাবে নাজেহাল হতে হয় কি না, জানি না।

এখন তো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু রয়েছে। তার মাধ্যমেও আমাদের পেনশন বিতরণ করা যেতে পারে। অথবা এর চেয়েও উন্নত ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

লেখক: উত্তরা, ঢাকা।

এসইউ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।