কর্মজীবী মায়েদের জন্য


প্রকাশিত: ০৭:০৪ এএম, ১৪ আগস্ট ২০১৬

শিশুরা, ছেলে-মেয়েরা মাকে যত বেশি কাছে পায় তারা তত বেশি ভালো থাকে। জীবিকার তাগিদে কর্মজীবী মায়েদের বাইরে যেতে হয়, চাকরি-বাকরি করতে হয়। ফলে সংসারে সন্তানের পেছনে মায়েদের পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয়ে উঠে না, এটা রূঢ় বাস্তবতা।

জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সংসারে মায়েদের ভূমিকা আরও প্রশস্ত করা প্রয়োজন। জাতিগঠনের প্রধান হাতিয়ার মা। দূর ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, দেশের উজ্জ্বলতর বৃহৎ স্বার্থ বিবেচনায় রেখে কর্মজীবী মায়েদের শ্রমঘণ্টা কমিয়ে আনা যায় না কি? তাদের চাকরির যাবতীয় প্রাপ্য মর্যাদা অটুট রেখে, বেতন ভাতাদিসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধার একটুও কমতি না করে, তাদের শ্রমঘণ্টা ৮ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দিলে বাড়তি সময়টুকু তারা সংসারে দিতে পারেন।

প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়, এমন সন্তানবতী নারী কর্মচারীদের জন্য দেশ ও সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে, জাতির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে এতটুকু ছাড় সবাই মেনে নেবেন উদারচিত্তে আশা করি। কেননা প্রকৃত অর্থে যার-যার সন্তান তার-তার হলেও বৃহত্তর অর্থে তারা আপনার আমার সবার সন্তান।

আমাদের দেশের বর্তমান কর্ণধার নিজেও একজন মা। মাতৃহৃদয়া প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতিনির্ধারক মহল এ ব্যাপারে যদি একটু ভাবেন, খুশি হবো বিস্তর।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, গফরগাঁও সরকারি কলেজ, ময়মনসিংহ।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।