জেনে নিন কিছু উদ্ভট চাকরির ইতিহাস : ৩য় পর্ব

সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ , লেখক ও সাংবাদিক
প্রকাশিত: ০৯:০২ এএম, ২১ জুলাই ২০১৬

জীবিকার তাগিদে মানুষকে কত রকমের কাজই না করতে হয়। চাকরির মধ্যেও রয়েছে উঁচু-নিচু ভেদাভেদ। কোনো কোনো চাকরি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও করে আসছে মানুষ। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এমন সব চাকরির কথা উল্লেখ রয়েছে, যা শুনলে আঁৎকে উঠবেন আপনিও। তাহলে আসুন জেনে নেই এমন কিছু উদ্ভট চাকরির ইতিহাস। আজ থাকছে ৩য় পর্ব-

জোঁক সংগ্রাহক
এক সময় জোঁক সংগ্রাহকরা এগুলো সংগ্রহ করে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কাছে বিক্রি করতেন। ১৮শ’ শতকের দিকে বিভিন্ন চিকিৎসায় জোঁকের বেশ ব্যবহার ঘটতো। তখন এদের কদর ছিল।

বরফ ভাঙা
ফ্রিজ থেকে যখন বরফ মিলতো না, তখন কী হতো? বড় বড় বরফ খণ্ড বানানো হতো। এগুলো ভেঙে ব্যবহারযোগ্য করতেন আইস কাটাররা।

চিমনি পরিষ্কার
শীতের সময় ঘর গরম করতে আগুন জ্বালানো হতো। গোটা শীতেই তা চলতো। তখন বাড়ির চিমনিতে বেশ ময়লা জমতো। তখন সাধারণত দরিদ্র শিশুদের দিয়ে চিমনি পরিষ্কারের কাজ করানো হতো।

ব্যাজার
এ শব্দে কোনো প্রাণিকে বোঝানো হতো না। পুরনো সময় এ শব্দটি প্রয়োগ ঘটতো অনেকটা এভাবে, কৃষক তার পণ্য বাজারে বিক্রি করতে এনেছেন। সবাই বলতেন, ব্যাজাররা এসে এগুলো কিনে নেবে।

জীব-জন্তুর খাবার পরীক্ষা
ভাবতেই অবাক লাগে, বিশ্বে এমন অনেক দেশ আছে যেখানে কুকুর-বিড়ালের জন্য প্রস্তুত করা খাবার আগে মানুষকে খাইয়ে পরীক্ষা করে নেয়া হয়। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশের এসব কোম্পানি পোষা জীব-জন্তুর খাবার পরীক্ষক হিসেবে লোকদের চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয়। তারা খাবারটি তৈরি হওয়ার পর টেস্ট করে দেখে কুকুর বা বিড়াল খাবারটি পছন্দ করবে না অপছন্দ করবে।

ভাড়াটে প্রেমিক
প্রেমিক নেই, ভাবনা নেই। কারণ প্রেমিক ভাড়ার লোভনীয় বিজ্ঞাপন ইন্টারনেটে হরহামেশাই চোখে পড়ে। জাপান, চীন, আমেরিকা, ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতে প্রেমিক ভাড়া দেয়া হয়ে থাকে এবং এটি সেসব দেশে আইনসম্মত। যেখানে টাকার বিনিময়ে প্রেমিক ভাড়া দেয়া হয়। পেশাটি সত্যিই অদ্ভুত?

ডাগুয়েরোটাইপিস্ট
সেলফি যুগের বহু আগে ছিলেন ডাগুয়েরোটাইপিস্টদের সময়। তারা ফটোগ্রাফির কাজটিও করতেন। পলিশ করা রূপায় ঝকঝকে ছবি তুলতেন তারা।

নকার-আপ
অ্যালার্ম ঘড়ি আসার আগে অলসরা কিভাবে সকালে উঠে কাজে যেতেন? তারা একজন নকার-আপকে ভাড়া করতেন। তারা সকালে সময়মতো বাড়ির নিচে এসে জানালায় বিভিন্ন দানা ছুড়ে মারতেন।

গন্ধ পরীক্ষা
এটি খুবই উদ্ভট একটি পেশা। আমরা প্রতিদিন ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। তবে কখনও ভেবে দেখেছেন এই সুগন্ধি টেস্টারের কাজটি যিনি করেন তার প্রতিদিনের অনুভূতি কেমন থাকে। এই পেশার মানুষদের দিনের পুরো সময়টা অন্যের শরীরের ডিওডোরেন্টের ঘ্রাণ পরীক্ষা করতে হয়!

এসইউ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।